অবতাক খবর, সংবাদদাতা ব্যারাকপুর :: মনিষ শুক্লা মার্ডার কেসের সিআইডি গতরাতে দুজনকে সন্দেহবশত আটক করে। তাদের সারারাত জিজ্ঞাসাবাদের পর সকালে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। যে দুজনকে সিআইডি রাতে আটক করেছিল তাদের মধ্যে একজন এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ খুররাম খান ও অপরজন শার্প সুটার গোলাপ শেখ বলে পরিচিত। দুইজনকে ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হলে তাদের 14 দিনের সিআইডি রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক ।
উল্লেখ্য গত রবিবার রাত আটটা নাগাদ টিটাগর থানার পাশেই রাস্তার উপরে অবস্থিত এক ঔষধের দোকানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি দাপুটে নেতা মানিশ শুক্লা। তখন হঠাৎ দুটি বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীর দুষ্কৃতীরা মনিষর ওপর গুলি চালায়। পরে মনিশ কে একের পর এক গুলি করে অপর আরেকটি বাইকে করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী।
সেই সময় মনিষের পাশে যারা ছিলেন সকলে পালিয়ে যান। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মনিষ। কলকাতা এনআরএস মেডিকেল কলেজে মনিষের পোস্টমর্টাম হয় সেই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী মনিষের মাথায় বুকে ও পেটে সাতটি গুলি লেগেছে। মনিষকে সেভেন এম এম পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
মোহাম্মদ খুররাম খানকে আদালতের পথে সাংবাদিকরা তার বক্তব্য জানতে চাইলে সে কিছুই বলতে রাজি হয়নি। তবে প্রশ্ন কেন খুন করিয়েছে খুররম ?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর মোহাম্মদ খুররামের বাবা সিপিআইএম নেতা ছিলেন। তার খুনের পেছনে মনিষের নাম জড়িয়েছিল। খুররামের বাবার মৃত্যুর পর থেকে মনিষ ও খুররাম সম্পর্ক সাপ নিউলের মতন হয়ে ওঠে। সমগ্র ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে মনিষ ও খুররাম এর দ্বন্দ করোর থেকে অজানা নয়। সিআইডি খুররামকে গ্রেফতার করলেও মৃত্যুর কারণ এখনো খোলাশা করেনি।
অন্যদিকে মানিশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমণি শুক্লা তার এফআইআর-এ যে নাম বলে দিয়েছেন তাতে খুররামে নাম রয়েছে। তাছাড়াও মনিষের বাবা আরো 7 জনের নামে এফআইআর এ উল্লেখ করেছেন।