অবতক খবর, সংবাদদাতা, কোলকাতা :: ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপির দাপুটে নেতা মনিষ শুক্লার হত্যা মামলা নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের রাজনীতিতে উত্তপ্ত সারাবাংলা। সোমবার সারাদিনই ব্যাপী দফায় দফায় বিক্ষোভ অবস্থান ও প্রতিবাদ মিছিল আয়োজিত করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও সারাদিন মনিষ হত্যা মামলা নিয়ে সরব ছিলেন। জেলার জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বিজেপি সমর্থকরা।
উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণ ও নৃশংস ভাবে হত্যা নিয়ে মনীষা হত্যা নিয়ে যেভাবে তৃণমূল গত দুদিন ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব ছিল আজ মনিষ হত্যার পর,বিজেপি একই কায়দায় সরকারের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এককথায় মানিশা বাল্মীকির মামলায় এখন ঠান্ডা বস্তায় ফেলে দিয়ে মনিষ হত্যা মামলায় রাজ্যে রাজনীতি উত্তাল ।
বিজেপি নেতারা শুধু সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। অন্যদিকে রাজ্য সরকার সিআইডি হাতে তদন্তের ভার তুলে দিয়েছে। মনিষ শুক্লার বাড়ি থেকে শুরু করে তার মরদেহ ময়নাতদন্ত ও তার দেহ নিয়ে কলকাতা শবযাত্রা করতে দেখা যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের নেতা নেত্রীদের।
মনিষ শুক্লার মৃতদেহ নিয়ে কলকাতা উত্তাল হয়ে ওঠে। রাজভবন মরদেহ নিয়ে যেতে মরিয়া বিজেপি কিন্তু পুলিশের অনুমতি না মেলাতে বিজেপি সমর্থকরা যত্রতত্র বিক্ষোভ দেখান। বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি নীলরতন সরকার হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত দলীয় সমর্থকদের নিয়ে মৃতদেহ সঙ্গে নিয়ে রাজভবন পদযাত্রা করেন।কিন্তু তাদেরকে ধর্মতলা আটকে দেয় পুলিশ।
বিজেপির রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান মনিষ শুক্লার হত্যার তদন্ত সিবিআই হাতে তুলে দেওয়ার জন্য মনিষের পরিবারকে নিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন তারা ছেড়ে দেবেন না।
অন্যদিকে মনিষ হত্যা নিয়ে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ জানান যে মনিষ হত্যা নিয়ে চরম রাজনীতি করছে বিজেপি। তিনি বলেন অর্জুন সিং বোমা গুলি বন্দুকের কালচারের রাজনীতি ভালোবাসে। বিজেপি নোংরা রাজনীতি করে সরকার ও পুলিশকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরো বলেন বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই এই খুন হয়েছে। শুধু তাই নয় খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। টিটাগর ক্রিমিনালদের লড়াই জন্য এই খুন। নির্মল ঘোষ আরো বলেন তৃণমূলের এই খুনের ঘটনার সাথে কোনরকম যোগ নেই।
অন্যদিকে রাজ্যের নগর উন্নয়নমন্ত্রী এবং কোলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান হত্যার সঙ্গে অর্জুনের যোগ সাজেশ আছে। তিনি বলেন যে মনিষ সারাদিন অর্জুনের সঙ্গে ছিল সেই মনিষকে তার হত্যার মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের আগে একা রাস্তায় ছেড়ে কলকাতা চলে যায় অর্জুন সিং কেন? কোথায় চলে গেছিলেন অর্জুন সিং সে তদন্তের বিষয়ে আছে? ফিরহাদ হাকিম আরো বলেন মনিষ শুক্লার নাকি দুজন প্রাইভেট দেহরক্ষী ছিল সেই দেহরক্ষীদের সরিয়ে দিলো কেন ? কে তাদেরকে সরাল? তাও আবার দুজনকে একসাথে ছেড়ে দেওয়া হল, প্রশ্ন অবশ্যই মারাত্মক।
অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিমের এই প্রশ্ন তোলাতে খেপে উঠেন সাংসদ অর্জুন সিং । তিনি বলেন তিনি বলেন, “যেদিন মন্ত্রীত্ব থাকবে না সেদিন বাংলার মানুষ ওকে রাস্তায় ফেলে পেটাবে।”। তবে ফিরহাদ যে প্রশ্ন তুলেছেন তার কোনো উত্তর দেননি সাংসদ অর্জুন সিং।