নরেশ ভকত :: অবতক খবর :: বাঁকুড়া :: দলের যুব সংগঠনের গুরুত্ব পূর্ণ পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলায় পা রেখেই শাসক দলে বড় সড় ‘ভাঙ্গন’ ধরালেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কার্যকরী সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কোতুলপুর এলাকা থেকে ৭০০ জন তাদের বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রত্যেকেই সক্রিয় তৃণমূল ও কয়েক জন সিপিএম কর্মী ছিলেন বলে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সূত্রে দাবী করা হয়েছে। এদিন ‘তৃণমূল ছেড়ে আসা’ ঐ কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অমর নাথ শাখা সহ অন্যান্য পদাধিকারিরা।
এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে গঙ্গাধর লোহার বলেন, ওই দলে থেকে মানুষের কাজ করার সুযোগ ছিলনা। তিন জন ব্লক নেতৃত্ব নিজেদের খেয়াল খুশি ও পছন্দের লোককে দিয়ে কাজ করায়। সেকারণেই মানুষের কাজ করতেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে তিনি জানান।
বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার নাম না করে তাঁকে ‘হাফ প্যান্ট মন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, উনি তো লোকসভা ভোটে নিজের বুথেই হেরে আছেন। আর ওনার এলাকার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ৯০ জনের নেতৃত্বে ৭০০ জন তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন। একই সঙ্গে তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কালীঘাটের ভাইপো’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ওনার যুব শক্তিতে কেউ থাকতে চায়না। ছলচাতুরি ধরা পড়ে গেছে। এই দলবদল প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে জানিয়ে রাজ্যের ১২ জন মন্ত্রী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও তিনি দাবী করেন।
এই দলবদলের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে শাসক তৃণমূল। দলের বাঁকুড়া জেলা কার্যকরী সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা সৌমিত্র খাঁকে ‘মানসিক রোগী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ওনার সুস্থতা কামনা করি। উনি শুধুমাত্র ‘ডিম ভাত’ খাওয়ানোর জন্য লোকজনকে ডেকেছেন। কোন দলবদল হয়নি বলেই তার দাবী।