অবতক খবর,২ মার্চ: দিদির দলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ মার্চ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিশেষ সভা ডেকেছেন। এই সভায় উপস্থিত থাকবেন কাউন্সিলররা, ওয়ার্ড কমিটির সেক্রেটারিরা। বিশেষ করে বীজপুর অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে যে যারা তৃণমূল থেকে হঠাৎ করে গেরুয়া হাওয়ায় প্রলুব্ধ হয়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন সেই সমস্ত কাউন্সিলররা আমন্ত্রণ পাননি এবং দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করে আসা, দলের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা নেতা-নেত্রী কেউই আমন্ত্রণ পাননি বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে জানা গেছে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন অদ্ভুতভাবে বিতর্কিত সেই তৃণমূল নেতা যিনি হালিশহরের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন রাজা দত্ত, তিনি বিজেপির কর্মী হলেও আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন। এই সংবাদে হইচই শুরু হয়ে যায় যে কেন রাজা দত্ত আমন্ত্রণ পেলেন! জেলা নেতৃত্ব কি জানেন না কারা প্রকৃত তৃণমূল আর কারা বিজেপি? এখনো কি তারা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি যে তৃণমূলের মধ্যেই বিজেপি লুকিয়ে আছে বা বিজেপির মধ্যে কি তৃণমূল লুকিয়ে আছে কিনা? তারা নিজেরাই এখনো নিশ্চিত নন? অথচ তারা নিজেরাই পোড়খাওয়া নেতৃত্ব এবং জেলার পদ গ্রহণ করে বসে আছেন। এই নিয়ে দলের মধ্যে বিতর্ক উঠেছে।
২ মার্চ যে বিশেষ সভা হচ্ছে সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন স্বনামধন্য সেই সেফোলজিস্ট পিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। ফলে এই সভার একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জানা গেছে কাঁচরাপাড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান সুদামা রায়, উপ পৌর প্রধান মাখন সিনহা এবং যুব সভাপতি কাউন্সিলর সুজিত দাস আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আর আগেই বলা হয়েছে, নতুন করে যে ওয়ার্ড সেক্রেটারি গঠন করা হয়েছে সেই সেক্রেটারিরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন। দলের বর্তমান চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী তিনিতো আমন্ত্রণ পাবেনই। কারণ তাঁর নেতৃত্বেই বর্তমানে তৃণমূল দল সক্রিয় হয়েছে। যাইহোক এই যে আমন্ত্রণের ব্যাপার নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে এবং অনেক নেতা নেত্রীরাই আমন্ত্রণ না পাওয়ার জন্য ক্ষুব্ধ।
পরবর্তীতে জানা গেছে শেষ মুহূর্তে যে নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ ছিলেন তারা আমন্ত্রিত হয়েছেন এবং তারা সদলে সভায় উপস্থিত হয়েছেন।