অবতক খবর,৯ অক্টোবর: মহা করোনা কাল। বর্তমানে কাঁচরাপাড়ার জনজীবন যেমন উন্মুক্তভাবে চলাচল করছে,তাতে করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা বিধি বহু মানুষই মানছেন না। এখন কাঁচরাপাড়া স্টেশন থেকে শুরু করে বাগমোড় পর্যন্ত এই শহর কর্মব্যস্ত। পুজোর মরশুম স্বাভাবিকভাবেই উৎসবের মেজাজে মেতে উঠতে চাইছে এই শহর। বাজারে উৎসবকালীন কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। কাঁচরাপাড়ার মানুষকে সতর্ক করার জন্য এই খবরটি পরিবেশিত হচ্ছে।
৮ অক্টোবর পর্যন্ত কাঁচরাপাড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৩৬ জন। মারা গিয়েছেন ১৩ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৫ জন। এরমধ্যে ৯ জন রয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।বাকিরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
জানা গেছে, রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। রেল কর্তৃপক্ষের করোনা সংক্রান্ত মান্যতা নিয়ে এবং রোগীর বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছে। রেল হাসপাতালের মর্গে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ ৭-৮ দিন ধরে পড়ে থাকছে বলে মৃতের পরিবারের থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ সম্পর্কে জানা গেছে যে, করোনার মৃত ব্যক্তি সম্পর্কিত সংবাদ তিনটি স্থানে জানাতে হয়। এসডিও অফিস,বীজপুর থানা এবং কাঁচরাপাড়া পৌর প্রশাসনকে। সঙ্গে মৃত্যু সংক্রান্ত রিপোর্ট, পারিবারিক অনুমতি সংক্রান্ত রিপোর্টও পাঠাতে হয়। এই মর্মে এসডিও অফিস থেকে ব্যবস্থা অবলম্বনের নির্দেশ প্রদান করা হয়,কোন রোগীকে কোন শ্মশানে, কবে দাহ করা হবে। সেই সমস্ত নির্দেশ এসডিও অফিস থেকে পৌর প্রশাসন এবং থানা প্রশাসনকে জানানোর পর দায়িত্বপ্রাপ্ত থানা প্রশাসন এবং পৌর প্রশাসন তার সৎকারের ব্যবস্থা করেন।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রেলওয়ে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য যা যা প্রয়োজনীয় রিপোর্ট পাঠাতে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘসূত্রিতা অবলম্বন করছেন। ফলত, মৃতদেহ বাধ্য হয়ে মর্গে রাখতে হচ্ছে। আর এই কারণে মৃতের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চিত হচ্ছে।