অবতক খবর, মোথাবাড়ি : ছেলেধরা কান্ডে এখনও আতঙ্কে রয়েছে চকপ্রতাপপুর গ্রাম। ১০০ জনের নামে পুলিশ মামলা রুজু করেছে। তার মধ্যে নিরীহ মানুষদেরও নাম রয়েছে। এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে রবিবার চকপ্রতাপপুর গ্রামে যান বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর আগেও পাশের গ্রাম বাবলায় এই রকমই ছেলেধরা সন্দেহে প্রহারের চেষ্টা হয়েছিল।
পুলিশ দোষীদের শাস্তি দিতে ১০০ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে নীরিহ কিছু মানুষেরও নাম দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। এদিন গ্রামবাসীদের আশ্বস্তও করেন সাবিনা। তিনি বলেন,‘পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। নিরপরাধী কাউকে পুলিশ ধরবে না। এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেদিকটা দেখতে হবে সবাইকে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন,‘আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া গ্রামবাসীদের ঠিক হয় নি। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা করা ঠিক কাজ হয় নি। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা আর না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
মোথাবাড়ি থানার ওসি বিটুল পাল বলেন, ‘কোনও নিরীহ মানুষকে ধরা হবে না। প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাবেন। এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। চকপ্রতাপপুর গ্রামের ঘটনাটি পুলিশ কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। করোনা পরিস্থিতিতে বেআইনিভাবে মানুষের জমায়েত, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের গায়ে হাত তোলা, কাজে বাধা-সহ একাধিক অভিযোগ এনে অভিযোগ দায়ের করেছে।
কয়েকমাস আগে সংশ্লিষ্ট থানার রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবলা স্ট্যান্ডে ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলার ওপর গণপিটুনি দেওয়ার চেষ্টা হয়। কার্যত একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চকপ্রতাপপুরে। সেখানে জনরোষের শিকার হন সাহেরা খাতুন নামে এক মহিলা। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এলাকাবাসী।