মহীনের আরেকটি ঘোড়া চলে গেল
আজ আকাশে ঘনায়মান মেঘ, গুরুগুরু গর্জন।
বিদ্যুতে বিদীর্ণ আকাশের বুক। তাই এই লেখা….
মহীনের ঘোড়াগুলি ঝড়ের গান গায়
তমাল সাহা
মহীনের ঘোড়াগুলি
এখনো কি ঘাস খায় সেই বিস্তীর্ণ প্রান্তরে!
আস্তাবলে এখনো কি সেই সব তারুণ্য জীবনমুখী গানের মহড়া দেয়?
নকশাল ছেলেরা এখনো কি জেল খাটে?
রাজনীতি-সংস্কৃতি,সংস্কৃতি- রাজনীতি
একাকার হয়ে গেলে মানুষ মিশে যায় কলস্বরে।
সেই কলতানে মানুষ মানুষকে জড়ো করে।
জেল কুঠুরি, লোহার গরাদ
কারাবাসের বন্দিজীবন বলে—
পৃথিবীকে আরো বড় করো
শুধু জীবন আর জীবনকে আঁকড়ে ধরো।
জীবন তো মুক্ত পাখির উড়ান
জীবন তো ছন্দোময় মেঘের উড়াল
অঝোর বৃষ্টিস্নান—
এই নিয়েই তো স্বর ধ্বনি গান।
গান ছাড়া কি মানুষের রাজনীতি হয়
মানুষের রাজনীতি কি হয় গান ছাড়া!
গানে গানে চেতনার পাহারা—
জীবনের সাড়া।
মহীনের ঘোড়াগুলি মাটিতে পা রেখে
এখনো ঘাস খায়।
মাটি-ই জীবন, জীবন-ই মাটি
কথা-সুর-তাল জানান দিয়ে যায়।
পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ
ঈশান বায়ু অগ্নি নৈঋত ঘিরে ফেলে
মহীনের ঘোড়াগুলি
দ্যাখে অশনি দামিনী অনুভা শম্পা চপলা
তীব্র দ্যুতিময় আকাশ বিদীর্ণ করে
রণভেরি নিয়ে বিদ্রোহে মেতে ওঠে
সংবর্ত পুষ্কর পর্জন্য দ্রোণ
শূন্যে গর্জে বাতাস সোঁ সোঁ শব্দে বহমান।
মহীনের ঘোড়াগুলি ক্রমে ক্রমে গতি বাড়ায়,
দ্রুত ধাবমান।
বজ্র বিদ্যুৎ মাথায় করে
গেয়ে যায় সংক্ষুব্ধ ঝড়ের গান।