অবতক খবর,১৬ জুলাই,মলয় দে নদীয়া:-তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকায় রেফ্রিজারেটর বানিয়ে ফেললেন দুই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। জল ধরবে প্রায় ২৫ লিটার ঠান্ডা হবে মাত্র ১০ মিনিটে। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে ঠান্ডা জলের চাহিদা থাকে সবসময়ই।

গ্রীষ্মকালে প্রখর রোদে কর্মসূত্রের বাইরে বেরিয়ে জল পিপাসা পেলে ব্যাগে রাখা বোতলের জল খেয়ে তৃপ্তি হয় না। তার কারণ গরমের চোটে সেই জল হয়ে যায় একেবারে উষ্ণ! আর সেই কারণেই বাজার চলতি ফ্রিজের ঠান্ডা জল কিনে খেতে হয় অনেকেরই। তবে এই সমস্যা শুধু পথ চলতি মানুষের কিংবা বাসে ট্রেনে নিত্যযাত্রীদের হয়, তেমনটা কিন্তু নয়।

ঠিক তেমনই গরমে নিজেদের দোকানে কাজ করতে বেজায় কষ্ট হচ্ছিলো নদীয়ার পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রাহুল এবং মিলন দুই যুবকের। সারাদিন ধরে কাজ করার জন্য এই গরমে একমাত্র ভরসা ঠান্ডা জলের। তবে বাড়ি থেকে আনা জল সূর্যের তাপে হয়ে যাচ্ছিল গরম! এরপরই তারা ঠিক করে কিছু একটা করতে হবে, তবে বাজারে ফ্রিজের যা দাম সেটি কিনে দোকানে আনার সামর্থ্য তাদের ছিল না। আর সেই কারণেই দোকানে পড়ে থাকা পুরনো একটি কম্প্রেসার দিয়ে, নিজেদের কাজের ফাঁকে ফাঁকে ১৫ থেকে ২০ দিনে দুই বন্ধু মিলেই বানিয়ে ফেলল একটি ফ্রিজ।

বাজারে যে সমস্ত ফ্রিজ পাওয়া যায় ফ্রিজের ভেতরে যাবতীয় যা সরঞ্জাম থাকে সবই রয়েছে তাদের বানানোই ফ্রিজের মধ্যে। তবে এই মিনি ফ্রিজের উচ্চতা ২৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ১৮ ইঞ্চি। প্রায় ২৫ লিটারের মতো জল রাখা যাবে এই ফ্রিজে। ১০ মিনিটের মধ্যে জল ঠান্ডা করে বিদ্যুৎ সংযোগ অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে, সেই কারণে বিদ্যুৎ খরচাও যথেষ্টই কম বলে এমনটাই দাবি করছেন ফ্রিজ প্রস্তুত কারক পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রাহুল মন্ডল।

রাহুল আরও জানায়, ” বাজারে যে সমস্ত ফ্রিজগুলো রয়েছে সেগুলোর দাম অনেক বেশি। মধ্যবিত্ত মানুষ সেগুলো কিনতে পারেনা। তাছাড়া সেই সমস্ত ফ্রিজ গুলি অনেকটাই বড়। এখন বেশিরভাগ মানুষেরই ঘর অনেক ছোট তাই সেখানে জায়গাও কম। সেক্ষেত্রে এই ফ্রিজটি ছোট হওয়ায় ঘরের যে কোন একটি কোনায় রাখা যাবে। এবং এই ফ্রিজটি হালকা হওয়ার কারণে যেখানে খুশি সরানোও যাবে। এই ফ্রিজটি আমরা প্রথম তৈরি করলাম, এরপরে ইচ্ছা আছে আরও উন্নততর ফ্রিজ বানানোর”।