অবতক খবর , নরেশ ভকত, বাঁকুড়াঃ গত রবিবার মাথার উপর ছাউনি টুকুও হারিয়েছেন বাধ্য হয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে । এ ছবি বিষ্ণুপুর পৌর শহরের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কাদাকুলি এলাকার ।
প্রশান্ত চক্রবর্তী নামে বছর ষাটের এক বৃদ্ধ স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে জীর্ণ মাটির বাড়িতে কোনরকমে বাস করতেন কিন্তু গত রবিবার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বসবাসের একমাত্র বাড়িটি । এমতাবস্থায় তারা বাধ্য হয়েই স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে রাত কাটাচ্ছেন । একদিকে কেন্দ্র সরকার গরিব মানুষদের বাড়ি দিচ্ছেন অন্যদিকে রাজ্য সরকার গরিবদের বাড়ি দিচ্ছেন কিন্তু এখনো এইরকম জীর্ণ বাড়িতে বসবাস করেও কেন প্রশান্ত চক্রবর্তী বাড়ি পেলেন না তাই নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । তবে কি এখানেও রাজনীতির গন্ধ লুকিয়ে রয়েছে । আর কতদিন তাদের এভাবে অসহায়তার সহিত রাত কাটাতে হবে সে প্রশ্ন অজানা তাদের কাছে । প্রশান্ত চক্রবর্তীর ছেলে বছর ছাব্বিশের মিঠুন চক্রবর্তী পূজার্চনা করে কোনরকমে দিন চালান । কেননা বাবা প্যারালাইসিস অন্যদিকে স্টোক রোগে ভুগছেন কোন কাজই তিনি করতে পারেন না । তাই অসহায় এই পরিবার এখন তাকিয়ে রয়েছে সরকারি সহযোগিতার দিকে ।
নিভা চক্রবর্তী নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন , যাদের ছেলেরা এক লাখ টাকা দামের গাড়ি চালাচ্ছে তারা সরকারি ঘর পাচ্ছে অথচ ওনার ছেলে কোন কাজ করে না আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ তবুও তিনি ঘর পাচ্ছেন না ।
প্রশান্ত চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী বলেন , দেওয়াল যখন খসে পড়ছে কোনরকমে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণে বেঁচে আছি । সরকারকে বারবার জানিয়েও কোল লাভ হয়নি ।
স্থানীয় কাউন্সিলর দিব্যেন্দু ব্যানার্জি বলেন , খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আমরা ঘটনাস্থলে যায় এবং ওনাদের কমিউনিটি হলে থাকার বন্দোবস্ত করি । এছাড়াও তিনি জানান ওনাদের নাম ঘরের লিস্টে রয়েছে খুব দ্রুত তাদের কিভাবে সরকারি বাড়ি দেওয়া যায় আমরা তার চেষ্টা করছি ।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির জেলা সভাপতি হরকালী প্রতিহার এই ঘটনার জন্য তৃণমূল সরকারকে দায়ী করেছেন । তিনি বলেন , তৃণমূল নেতাদের নামে বউয়ের নামে চৌদ্দগুষ্টির নামে বাড়ি হচ্ছে । অথচ প্রকৃত পক্ষে যাদের বাড়ির প্রয়োজন যাদের বাড়ির ছাউনি দিয়ে জল পরছে তারা বাড়ী পাচ্ছেন না ।