নিজস্ব সংবাদদাতা : অবতক খবর : মালদহ : মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল এক গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার রাহুত গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম ফাহমিদা বিবি বয়স(১৮)বছর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ইংরেজবাজার থানার নহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দিপুর এলাকার বাসিন্দা সাহাবুল শেখ মেয়ে ফাহামিদা সাথে গত ছয় মাস আগে পুরাতন মালদা থানার রাহুত গ্রামের বাসিন্দা রাক্কু শেখ এর ছেলে জহুরুল শেখ ভালোবাসা করে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই প্রাণের দাবী করে গৃহবধূর স্বামী শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বিয়ের পরে নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল দেওয়া হয় স্বামী জহুরুল কে। এরপরেও গৃহবধূকে আরো কুড়ি হাজার টাকা চাপ দেওয়া হয়। টাকা না দেওয়াই মাঝেমধ্যেই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হতো ওই গৃহবধূকে। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কয়েকবার ও গ্রামের সালিশি সভা বসানো হয়েছে। তাতেও সমাধান হয়নি।
গৃহবধূকে অত্যাচারের জন্য থানাতে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি বিরুদ্ধে। তাতে কোন কাজ হয়নি। ফের সপ্তাহখানেক আগে গৃহবধূকে আবার চাপ দেওয়া হয় কুড়ি হাজার টাকা আনার জন্য। না আনাই মেয়েকে মারধর ও মানসিক অত্যাচার করত স্বামী জহুরুল ও তার পরিবার। এ জ্বালা সহ্য করতে না পেরে গতকালকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই গৃহবধূ।
মৃত গৃহবধূর এক আত্মীয় জানান বিগত কিছুদিন ধরেই টাকা পয়সার জন্য মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। সেই জ্বালা সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা চাই দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিশ প্রশাসন।