অবতক খবর,৯ মার্চ: বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন সুবোধ অধিকারী। প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার পরেই তিনি জোর কদমে লেগে পড়েছেন ভোট প্রচারে। সেইমতই আজ হালিশহর ৬ নং ওয়ার্ডে দরজায় দরজায় জনসংযোগ করতে আসেন সুবোধ বাবু। এই ওয়ার্ডে আসতেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী চন্দ্রোদয় চক্রবর্তী তাঁকে ‘জাগো বাংলা’ পুস্তক দিয়ে সংবর্ধনা ও স্বাগত জানান।

বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুবোধ অধিকারী এখন যে পথ ধরেই হাঁটুন না কেন, সেই পথেই মানুষ তাকে ঘিরে ধরছে। কারণ শুধু প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই নয়, বরং তিনি প্রথম থেকেই মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন,বীজপুরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের সঙ্গে মিশে এক সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। পথে হাঁটার সময় কেউ তাকে বলছেন, “দাদা দেখুন, আপনি চশমা পাইয়ে দিয়ে ছিলেন বলেই আজ আমি চোখে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।” অন্য এক রাস্তায় হাঁটলে দেখা গেছে বয়জ্যেষ্ঠ একজন সুবোধ সুবোধ বলে তাঁকে ডাকছেন এবং বলছেন,”তোমার জন্যই আমি আজ এই হুইলচেয়ার পেয়েছি এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি।”

চারিদিকে মানুষের এই ভালোবাসা দেখে তাঁর চোখে জল চলে আসে।

তিনি বলেন,”মানুষের এই ভালোবাসা পেয়ে আমি আবেগাপ্লুত। বিরোধী দলের নেতারা দিনরাত আমার কুৎসা রটাতে ব্যস্ত। কিন্তু আজ হয়তো আমি টিকিট পেয়েছি,তবে আমি প্রথম থেকেই মানুষের সঙ্গে মিশে মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং দলের জন্য কাজ করেছি। শুধু টিকিটের লোভে যদি আমি তা করতাম তাহলে হয়তো মানুষের এতটা কাছাকাছি যেতে পারতাম না, মানুষের এতটা ভালোবাসা পেতাম না। লকডাউনে মানুষের জন্য কাজ করা হোক কিংবা আমাদের সমাজের প্রতিবন্ধী মা,বাবা,ভাই,বোনদের জন্য কিছু করা, এই সবকিছুই আমি সমাজ সেবার জন্যই করেছি। যাতে আমার দ্বারা মানুষের কিছুটা হলেও উপকার হয়। আর উপকার হয়েছেও। তাই তো মানুষ আমাকে রাস্তাঘাটে ডেকে ডেকে সেই উপকারের কথা বলেন। আর ঠিক এই ভাবেই আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই এবং মানুষের পাশে তাদের পরিবারের একজন হয়ে থাকতে চাই।”

আজ তৃণমূল প্রার্থী সুবোধ অধিকারী হালিশহর রামপ্রসাদ ভিটেয় মায়ের দর্শন করেন এবং পুজো দেন। মায়ের কাছে তিনি এই কামনা করেন,যাতে তিনি বীজপুরে মানুষের সেবা আজীবন করতে পারেন এবং বীজপুরের উন্নয়ন করতে পারেন। এমনটাই তিনি আমাদের জানিয়েছেন।

এর পাশাপাশি আজ তিনি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এমন কিছু বাড়িতে যান যে সেই পরিবারের লোকজন তাঁর কাছে বলেন যে,আপনি রয়েছেন বলেই আমাদের ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরতে পেরেছে এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে। কারণ বিজেপি তাদের উপরে যে সাংঘাতিক অত্যাচার নামিয়ে এনেছিল,ঘরছাড়া হয়েছিল তা থেকে তারা মুক্ত।