অবতক খবর,১১ ফেব্রুয়ারি,হুগলি :মানুষের সমস্যা শুনতে এবার দুয়ারে হাজির পুলিশ। শুক্রবার হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের অন্তর্গত পোলবায় এই চিত্র ধরা পরল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী রাজনৈতিক তরজা। পানীয় জল, রাস্তাঘাট, আলো সহ একাধিক সমস্যার কথা শুনতে পাড়ায় পাড়ায় হাজির হলেন পুলিশ আধিকারিকরা। গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলেন, শুনলেন মানুষের অভাব অভিযোগের কথা। আবার সমাধানের আশ্বাসও দিলেন। এর ফলে মানুষ ও পুলিশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ।
পোলবা থানার অফিসার ইনচার্জ অরূপ কুমার মণ্ডল তার সহকর্মীদের নিয়ে পোলবা থানা এলাকার একাধিক পঞ্চায়েত এলাকা পরিদর্শন করেন। সরাসরি মানুষের সাথে কথাবার্তা বলে তাদের সমস্যার কথা জানতে চান। রাস্তাঘাট, পানীয় জল সহ অন্যান্য পরিষেবা ঠিকঠাক আছে কিনা তাও গ্রামবাসীদের মুখ থেকে শোনেন পুলিশ আধিকারিকরা। সরকারি অফিস, বিডিও তে কিংবা থানাতে গেলে তাদের সাথে যথাযথ ব্যবহার করা হয় কিনা বা তাদের কথা শোনা হয় কিনা তাও জানতে চান পোলবা থানার অফিসাররা।
মানুষের সমস্যার কথা শুনতে পুলিশের এই ভূমিকায় কিন্তু কিছুটা হলেও হতবাক গ্রামবাসীরা। পোলবা থানার বীরেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার সাঁতরা বলেন, এটা দেখে ভালো লাগছে যে এই প্রথম কোন প্রশাসনের লোক এলাকায় এসে মানুষের খবর নিচ্ছে।
আমরা পুলিশকে জানিয়েছি, এখানে রাস্তার পীচটা হলে ভালো হয়। এবং নদীর সেতুটা চওড়া হলে ভালো হয় । ওনারা আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টা সমাধানের জন্য আবেদন করবেন।।
হুগলী জেলা গ্ৰামীন পুলিশ সুপার অমনদীপ জানিয়েছেন, মানুষের সাথে পুলিশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে কয়েক দিন ধরেই এই ধরনের প্রয়াস চলছে বিভিন্ন থানায়। মানুষের সাথে কথা বলার পর, বিষয়গুলো বিবেচনা করে হুগলী জেলা শাসককে জানানো হবে।
হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, বাড়ি বাড়ি নয় হয়তো পাড়ায় পাড়ায় যাচ্ছে পুলিশ। একটা বিষয় পরিষ্কার মানুষের সাথে যদি পুলিশের সঙ্গে একটা ভালো রিলেশন না থাকে তাহলে আপনারা জানেন একটা থানা এলাকায় এক লক্ষ মানুষ বসবাস করে আর পুলিশ থাকে দশ থেকে বারো জন মাত্র তবে প্রশাসন শান্তি শৃঙ্খলা ভাবে চলতে পারে না। সেই সূত্রেই যেতে পারে। এটা পুলিশের দেখার দায়িত্ব। অঙ্গনারি কেন্দ্র গুলো পুলিশ ভিজিট করছে, এটাওতো পুলিশ করছে। আমরাও বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি, পুলিশ ও যাচ্ছে। যাতে এটা নোট থাকে কোন বাড়ির লোক কি কি অভিযোগ করেছে।
অন্যদিকে বিজেপি হুগলী সংগঠনিক জেলা সাধারন সম্পাদক সুরেশ সাউ জানান, পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে দিয়ে জনগণের মধ্যে একটা ভয় সৃষ্টি করাতে চাইছে এরা। আদতে পুলিশের কাজ হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা। কিন্তু তৃণমূল এতটাই দুর্নীতি করে ফেলেছে তারা এখন মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছে না।