এখন ভারতবর্ষ জুড়ে মাস্ক বা মুখোশ পরে মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেক মানুষ এত ভীত সন্ত্রস্ত যে ভয়ে বাইরে বেরোচ্ছেই না।
রাষ্ট্রনেতাদের কোনদিন মুখোশ ছিল কিন্তু তাদের এত বড় স্পর্ধা যে তারা মুখোশ খুলে ফেলেছে, প্রকাশ্যে মুখ দেখিয়েই নির্লজ্জের মত দেশকে লুটে যাচ্ছে, দেশকে ভাগ করে যাচ্ছে। দেশকে ধর্মীয় আঘাতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে।
মাস্ক বা মুখোশ
তমাল সাহা
রাষ্ট্র প্রকাশ্যে মুখ দেখিয়ে
জনবিরোধী কাজ করে যায় স্পর্ধায়।
এবার আমাদের মুখ ঢাকতে হলো,
মুখোশ পরতে হলো লজ্জায়।
চারিদিকে রব করোনা! করোনা!
স্কুল-কলেজ ছুটি পড়াশোনা করোনা।
রাষ্ট্র বলে,
আমরা তো যা করার করেই যাবো।
তোমরা ঘাবড়াবে না,
তোমরা কোনো কিছু করোনা।
আমরা সারদা-নারদা করব,
ধর্মীয় বিভাজন করব,
দেশ ফতুর করে পালিয়ে যেতে দেব,
মানুষ খুন করবো—
তোমরা কাউকে স্পর্শ করোনা,
কিছুতেই না।
অন্তত এক মিটার দূরত্বে থাকো,
কখনোই একসঙ্গে থেকো না।
মানুষ জোটবদ্ধ হলেই যত গোলমাল।
রাষ্ট্রও মানুষকে ভয় পায়,
তখন রাষ্ট্র বড়ই বেসামাল।
করোনা এক অদ্ভুত রোগ।
রাষ্ট্র ও তার দলকে এনে দিয়েছে
আরেকবার কামাইয়ের সুযোগ।
করোনার নামে জনসেবা–
যা ইচ্ছে করো।
কোটি কোটি কামিয়ে পকেট ভরো।
রাষ্ট্রনেতাদের করোনাও ভয় পায়,
তারা করোনাকেও গিলে খায়—
তারা তো করোনা-রাক্ষস।
তুমি শালা, ভীতু নাগরিক!
আগেভাগেই পরে নিয়েছো মুখোশ।