অবতক খবর ,রাজীব মুখার্জী, হাওড়া :- বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের দুপুরে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার জন্য কেন্দ্র-রাজ্য উভয় সরকারের যৌথ উদ্যোগে মিড ডে মিল প্রকল্প চালু হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রচণ্ড আগুনের গরমে খাবার রান্না করা, পরিবেশন করা ও খাওয়ানো শেষ হলে বাসন ধোয়া সহ সকল কাজই মিড ডে মিল কর্মীদের করতে হয়। এত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে তারা ক্ষুধার্ত থাকলেও সেখান থেকে খাবার খাওয়ার কোন আইন সঙ্গত অধিকার তাদের নেই।
এত পরিশ্রম করে মিড-ডে-মিল কর্মীরা মাসে মাত্র ১৫০০টাকা পায়। এই টাকা পাই বছরে ১২ মাস নয় মাত্র ১০ মাসের । মিড ডে মিল কর্মীদের কোন প্রকার সামাজিক সুরক্ষা, পিএফ, পেনশন বা অবসরকালীন ভাতা দেওয়া হয় না। ‘সারা বাংলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়ন’ এর পক্ষ থেকে বহুবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে মিড ডে মিল কর্মীদের দূরাবস্থার কথা জানানো হয়েছে। কোন ফল হয়নি। এই কর্মীরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পরিবার থেকে আসা মহিলা। বেশিরভাগ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা পরিযায়ী শ্রমিক। করোনা পরিস্থিতিতে আজ তারাও কর্মহীন। আজ মিড ডে মিল কর্মীদের বহু পরিবার অর্ধাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে । এমতাবস্থায় ‘সারা বাংলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের’ হাওড়া গ্রামীণ জেলার ডাকে মিড-ডে-মিল কর্মীরা উলুবেড়িয়া স্টেশনে দশটায় জমায়েত হয়ে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে। বিক্ষুব্ধ মিড-ডে-মিল কর্মীরা তাদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গরুহাটা মোড়ে অবরোধ করে। পরে প্রশাসনের অনুরোধে মিছিল করে মহাকুমা অফিসের পাশে জমায়েত হয়ে একটি বিক্ষোভ সভা হয়। এই সভায় বক্তব্য রাখেন মিড ডে মিল কর্মীদের পক্ষে মমতা মণ্ডল, টুসি আরিন্ধ অশোকা ধোলে ও অন্যরা। এছাড়াও শ্রমিক সংগঠন এ আই ইউ টি ইউ সি’র সংগঠক নিখিল বেরা মিড ডে মিল কর্মীদের আরও সংগঠিত হয়ে দীর্ঘস্থায়ী বৃহত্তর আন্দোলন করে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।