অবতক খবর,২০ এপ্রিলঃ বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
মুকুল ইস্যু- নেবো কিনা জানিনা। কে নেবে তাও জানিনা। ওর মধ্যে আর কিছু বাকি নেই। নিয়ে কার লাভ তাও ঠিক নেই। পার্থ বলে দল আমার সঙ্গে আছে। আছে কি আদৌ? মুকুল বলছে আমি ওর সঙ্গে আছি। আছে কি? *মুকুল বলেছে বিজেপিতে ছিলাম, আছি, থাকব।* উনি বলছেন সিপিএম কে তাড়াতে হবে। *ওনার মাথা ঠিক আছে কি? এখানে কি সিপিএম আছে? কার হয়ে বলছেন? সেটা আগে ঠিক হোক। উনি অসুস্থ। নিজে বলছেন, আমি ঠিক আছি। ছেলে বলছে বাবা পাগল। আগে বাপ ছেলে ঠিক করুক কে কি? তারপর পাবলিক ঠিক করবে।
অভিষেকের জেলা সফর- এর রেজাল্ট কি? দুয়ারে সরকারে কর্মচারি নেই।লক্ষীর ভাণ্ডারে আর দেওয়ার মতো টাকা নেই। দিদির দূত সব ভগ্ন দূত হয়ে গেছে। লোকে গাছে বেঁধে আটকে রাখছে গ্রামে গ্রামে। এত দুর্নীতি করলে মানুষ তো বটেই, ভগবানও সঙ্গে থাকে না। তাই আজ কেউ নেই। বিচার ব্যবস্থাও পাশে নেই। তাই চেষ্টা করছে মানুষকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখতে। উনি জিবনে প্রথম বার গ্রামে যাবেন। রাহুল যেমন গ্রামে গিয়ে এবারই প্রথম সূর্যোদয় দেখল। গ্রামের মানুষ কিরকম হয় উনি সেদিন পার্লামেন্টে বলছিলেন। 50 বছর বয়সে উনি ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া করলেন। এখানেও তাই। যুবরাজ 40 বছর বয়সে সবাইকে দর্শন দিতে যাবেন। অথচ উনি গ্রামের থেকেই প্রতিনিধি। এবার গ্রাম দেখতে যাবেন। মানুষ বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছে এদের। একবার অন্ততঃ যান। রাহুল 50 এ গেল। উনি একটু আগে 40 এ যান। একটু আগে শুরু করুন।
২০২৪ এ মাত্র ২০০ আসনেই শেষ বিজেপি: মমতা ব্যানার্জি- কার শাপে যেন গরু মরে না? কি একটা প্রবাদ আছে? ২০১৯ এও বলেছিলেন বিজেপি ফুস। ওরা নাকি ৪২এ ৪২ পাবে। পরিণাম কি হল? ওনার এক ডজন সিট কমে গেল। যাদের উনি কলকাতায় সেবার সভা করতে নিয়ে এসেছিলেন তাদের অনেকেই পার্লামেন্ট পর্যন্ত পৌছাতে পারেনি। সবাই জেনে গেছে ব্যাপার টা। *তাই মমতা কে আর কেউ ডাকে না। কারণ ওনার দৃষ্টি পড়লেই সর্বনাশ।
যদি শাহকে ফোন করেছি প্রমাণ হয়, আমি গদি ছেড়ে দেব : মমতা—–
এতে প্রমাণ করার কি আছে? ওরা সর্বভারতীয় নাকি আঞ্চলিক, তাতে মানুষের কি যায় আসে? রাজ্যের মানুষ পেটে গামছা বেঁধে আছে। অন্য রাজ্যে গিয়ে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে। সেই তো এখানে কাটমানি আর দুর্নীতি চলছে।
বিজেপি দেশ চালাচ্ছে না, দেশ জ্বালাচ্ছে: তৃণমূল,—বিজেপি কিরকম দেশ চালাচ্ছে অন্য রাজ্যে গিয়ে দেখে আসুন। উনি একবার মোদীকে নকল করে ইনডোরে রোজগার মেলা করেছিলেন। দেখা গেল সব ভুয়ো। ওগুলো চাকরি নয়। সব ট্রেনিং এর কাগজ। যে কোম্পানি গুলোর নাম করেছিল, তারাই বলছে সব ভুয়ো। আমাদের নাম ভাঙানো হয়েছে।
শুভেন্দুকে নাকে খড় দিতে হবে : মমতা—উনি আগে প্রমাণ করুন। তারপর দেখা যাবে। আর উনি মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করলেই বা কি যায় আসে? উনি যে আছেন তাও কি বোঝা যায়? না দলে কোনো সিস্টেম আছে। না রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু আছে। সরকারি টাকা লুঠ হচ্ছে। উনি এখানকার টাকা ওখানে দিয়ে তাপ্পি মেরে চালাচ্ছেন। রাস্তা, স্বাস্থ, শিক্ষা, কিছুই তো ঠিক নেই। অর্ধেক স্কুলে শিক্ষক নেই। ওনার থেকেই বা কি লাভ? উনি বাংলার মানুষের স্বার্থে নিজে থেকেই ছেড়ে দিন।
স্ক্যানারে শেখ সুফিয়ান-এরা কেউ ছাড়া পাবে না। হাজার হাজার লোকের পিছনে সিবিআই লাগানো কাঁহাতক সম্ভব? এতো বছর ধরে লুঠ চলছে। পুলিস টাকা তোলায় ব্যস্ত। তাহলে তদন্ত কে করবে? সিবিআই গেলে পুলিস বাধা দিচ্ছে। এবার তো দেশের সমস্ত সিবিআই এখানে তুলে আনতে হবে, এতো কেস।
নীলাদ্রিকে সিআইডি স্ক্যানার- ওরা যদি মনে করে সিবিআই তাদের ডাকছে বলে পাল্টা সিআইডি দিয়ে ধমক দেবেন, তাহলে ভুল করবেন। মানুষ সব দেখছে।