অবতক খবর,১৯ মার্চঃ আজ পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন,মুখ্যমন্ত্রীকে দ্বিতীয় বার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার ভার্চুয়াল মিটিং করতে হচ্ছে এটাই আমাদের জয়। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর আর কোন জ্ঞান নাই তার একটাই লক্ষ্য সাগরদিঘী সাগরদিঘী সাগরদিঘী। অধীর বলেন দিদি সাগরদিঘীতে আসুন এখানে খুব ভালো মাছ পাওয়া যায় পদ্ম পাতাও পাওয়া যায়। এখানে বসে ছবি আকুল কবিতা লিখুন মাছ ভাজা খান বাড়ি চলে যান মুর্শিদাবাদ থেকে আপনাকে উচ্ছেদ করার কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি, অধীর বলেন আপনাকে বাংলা থেকে উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত এ অভিযান থামবে না। অধীর বলেন এই বাংলাকে সোনার বাংলা বলা হয়।
মা মাটি মানুষের বাংলা যাকে বলা হয় জয় বাংলা বলে যারা স্লোগান দেন সেই রাজ্যে বাংলা ভাষার পড়ানোটা যেন অপরাধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন এই বাংলায় রবীন্দ্রনাথ নজরুলের জন্ম এই বাংলা ভাষাতেই বঙ্কিমচন্দ্র শরৎচন্দ্রের পরিচিতি আমাদের মাতৃভাষা যা ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা। সেই ভাষা বাংলা থেকে বিলুপ্ত হওয়ার পথে চলেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে। অধীর বলেন এবার ছেলে মেয়েরা দিদির কবিতা পড়বেন আপাং, ঝপ্পাং ,ধপাং। অধীর চৌধুরী আজ সাংবাদিক বৈঠকে বলে যে যতই দিদি প্রোমোটার রাজ এবং কাঠ মানি ব্যাপারে কথা বলুক না কেন যে কোনদিন দিদি থামাতে পারবেনা। তিনি বলেন প্রোমোটারদের কাছে কোন জমি নাই সব জমি কেনা বেচা হয়ে গেছে।
এখন মানুষের সম্পত্তি আমার আপনার যে জমি জায়গা আছে রাতের অন্ধকারে বি এল আর ও ডি এল আর ও তৃণমূল পুলিশ মিলে সেগুলো নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে দলিলের নাম পাল্টে দেয়া হচ্ছে। অধীর বলেন এই বাংলায় দিদির রাজত্বে হয়তো আপনি সকালে বাড়ি থেকে বেড়াচ্ছেন রাতে বাড়ি এসে দেখবে আপনার বাড়িতে অন্য তালা মারা আছে ওই বাড়ি আর আপনার নয়। আপনি যেখানেই যান এ বিষয়ে কোনো রকম সাহায্য পাবেন না এটাই তৃণমূলের রাজত্ব। তিনি এ বিষয়ে বহরমপুর শহরের একের পর এক জলাশয় বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন, অধীর বলেন প্রোমোটারদের খিদে মিছে না তাদের আরো জমি দরকার। তিনি বলেন এমনও না দেখতে হয় আমাদের আগামী দিনে লালদীঘি বন্ধ না হয়ে যায় কয়ার ফিল্ড বিক্রি না হয়ে যায় সবশেষে গঙ্গায় না মাটি ফেলতে শুরু করে। অধীর বলেন স্বাভাবিকভাবে শহরের জমি বাঁচাবার তাগিতে সবাইকে একত্রিত হয়ে এদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে তিনি বলেন সেই হরি বাবুর ঢাল ের এর দায়িত্ব বহরমপুরে আমাদের মা বনেরা নিচে তারা মূলত প্রতিরোধ করেছেন আমরা তাদেরকে সাপোর্ট করেছি।
একটা জায়গায় মানুষের বসবাস করার জন্য জলা জায়গার যেমন প্রয়োজন আছে এই জলা জাগা মানুষের ফুসফুসের কাজ করে তাই তারা ফুসফুস বাঁচাবার জন্য গভীর রাতে যেখানে চুরি করে মাটি ফেলা হচ্ছিল মানুষ যখন ঘুমাচ্ছে তখন সেখানকার মা-বোনেরা জলাট জায়গায় মাটি ফেলা ঢুকেছে অধীর বলেন আমি সেই সব মা-বোনদেরকে সেলাম জানাই এবং আজ থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সর্বত্র এর প্রতিবাদে নামছে বলে তিনি জানান।