অবতক খবর,৭ সেপ্টেম্বর,চাঁচল: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্পেও এবার দুর্নীতির ছায়া।এবার দুর্নীতির জাল ছড়ালো স্কুল পর্যন্ত।যে প্রকল্প নিয়ে এত গর্ব শাসকের সেই প্রকল্পেও কাটমানির অঙ্ক।কাঠগড়ায় হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। মালদার চাঁচল ২ নং ব্লকের জালালপুর হাই মাদ্রাসাতে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য।ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, কন্যাশ্রী এবং সবুজ সাথী প্রকল্পের জন্য ৩০০ টাকা এবং ১০০ টাকা করে কাট মানে নিচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসাদুল্লাহ চৌধুরী। এই অভিযোগেই প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে চলতে থাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ। মাদ্রাসার মূল ফটকের সামনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে সরভবন মাদ্রাসার শত শত পড়ুয়া। প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। সমগ্র ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদাকের চাচল ২ নং ব্লকের জালালপুর হাই মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার পাঠরত পড়ুয়াদের অভিযোগ, কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফরম ফিলাপের জন্য ২০০ ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সবুর সাথে প্রকল্পের সাইকেলের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। টাকা ছাড়া কোন কাজই হচ্ছে না। তাই সকল পড়ুয়া একত্রিত হয়ে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।
যদিও টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসাদুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, পড়ুয়ারা যে অভিযোগ করছে তা পুরোপুরি ভাবে মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন।
আবাসের অভিযোগে উত্তপ্ত বঙ্গ, এরই মাঝে এবার দুর্নীতির সংযোজন। ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের আমলে এই রাজ্যে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। এতদিন পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি ছিল এবার স্কুলগুলোতেও দুর্নীতি হচ্ছে অভিযোগ বিজেপির।
সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে পাল্টা সাফাই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।