অবতক খবর , সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদ :: মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার বাজার পাড়ার বাসিন্দা সোনালী চৌধুরী(16) রঘুনাথগঞ্জের জোতকমল এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে গত 12 তারিখ রাত্রে প্রেম ভালোবাসার কারণে পালিয়ে যাই। সেই ক্ষেত্রে সোনালীর পরিবারের লোকজন রঘুনাথগঞ্জ থানায় একটি ডায়েরি করে। তার পর রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ গতকাল সকালে সোনালীকে ও ছেলেটিকে আটক করে। দুজনকে জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ছেলেটিকে জেল হেফাজত ও মেয়েটি কে হোম পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোনালীর বাড়ির লোক জানান যে আজ সকাল বেলায় বহরমপুরের সিলায়ন হোম থেকে বাড়ির লোকজনকে ফোন করা হয়। বলা হয় আপনাদের মেয়ে অসুস্থ তাড়াতাড়ি আসুন। বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি হোমের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে হোমের লোকজন জানান তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে। বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন, একটি সরকারি হোম কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাদের অভিযোগ হোম নিশ্চয়ী এমন কিছু হয়েছে জারজন্য মেটিকে তারা খুন করে দিয়েছে।
তারা আরও বলেন যে কীভাবেই বা তাদের মেয়ে আত্মহত্যার জিনিস পেল? এত সিকিউরিটি থাকা সত্বেও কিভাবে তাদের মেয়ে মারা গেল। একটা ঘরে 4-5 জন মেয়ে থাকে সেখানে কিভাবে অন্য মেয়েরা বা হোমের লোকজন বুঝতে পারল না। তারা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার জেরে রঘুনাথগঞ্জে বাজারপাড়া এলাকায় ও পরিবারের এখন শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির লোকজন মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে.বাড়ির লোকজন কে ফোন করে হোমের ইনচার্জ হুমকি দেন বলে অভিযোগ। তিনি বাড়ির লোকেদের প্রশ্ন করেন যে মিডিয়া কেন এলো। মৃত্যু নিয়ে হমার তরফ থেকে কেউ খুলতে চাননি। এখন প্রশ্ন কি চলছে ওই হোম ? কোন কারণে মারা গেলো সোনালী ? আদৌ কি তদন্ত হবে নাকি সব ধামা চাপা পদে যাবে ?