অবতক খবর, সংবাদদাতা ::- পৌরসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। রাজ্য জুড়ে চলছে তার প্রস্তুতি। চলছে জেলায় জেলায় প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ। আর তার জন্য দায়িত্ব দেয়া হযেছে জেলা সভাপতি বিধায়ক ও টাউন সভাপতি ও স্থানীয় নেতৃত্বদের। যেসব জায়গায় চরম গোষ্টিবাজি রয়েছে সেসব জায়গায় একটি কমিটি করে দিয়েছেন জেলার পর্যবেক্ষক।
সূত্র অনুযায়ী 2রা মার্চ সকল নেতৃত্ব দের কলকাতায় ডেকেছেন নেত্রী। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করে লিস্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। আর এই প্রার্থী দের নাম শর্টআউট করতে আজ মুর্শিদাবাদ পৌর সভায় বৈঠকে বাসার কথা ছিল জেলা সভাপতি আবুতাহের খান, বিধায়ক শাউনি সিংহ রায়, মহকুমা পর্যবেক্ষক রাজীব হাসান,সহ কমিটির সদস্যদের। বৈঠকে ডাকা হয়েছিল রবিবার বেলা 7.30 নাগাদ। কিন্তু বৈঠকের আগেই শুরুু হয়ে যায় বিক্ষোভ। বৈঠকের হাগেেই হাাজির হয়েযান 5-7 শত লোক। শুরু হয়েযায় বিক্ষোভ। তৈরি হয় চরম অশান্তি। এই বিক্ষোভ দেখিয়ে বৈঠক ভেস্তে দেয়ার চেষ্ঠা চলে। বিধায়ক শাওনী সিংহ রায় কে বৈঠকে ঢুকতে বাসা দেয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে যে এই বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই অঞ্চলের চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী প্রত্যেকটি ওয়ার্ড থেকে ২৫-৩০ জন করে আসতে বলেন। আর হবু প্রার্থীরা তাদের দল বল নিয়ে পৌঁছে যান প্রার্থীর দাবিদার হয়ে। তারা প্রায় ৫০০-৭০০ জন এসে পৌরসভার সামনে রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। যার ফলে বানচাল
হতে বসে এই বৈঠক কিন্তু জেলা সভাপতি ও সাংসদ আবু তাহের খান বৈঠক করলেও প্রার্থী নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের গোষ্ঠী কলহ তুঙ্গে। কয়েকটি গোষ্ঠী এই মুহূর্তে যেভাবে নিজেদের মধ্যে লড়াই চালাচ্ছে এতে তৃণমূলের কর্মী সংগঠন এক্কেবারে শেষ। যদিও এসব নিয়ে ভাবছেন না জেলার নেতারা। তৃণমূলের এক কাউন্সিলর জানান চেয়ারম্যান পৌর সভার কেজুয়ালওয়ার্কর ও স্থায়ী শ্রমিকদের নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কোনো তৃণমূল নেতা কর্মীদের পাত্তাই দিচ্ছেননা।তৃণমূল এক নেতা জানান এই বৈঠক বানচাল করে তিনি একা একা বৈঠক সেরে নিজের পছন্দের প্রার্থী দিতে চাইছেন। তিনি নিজে ও তার স্ত্রীকে প্রার্থী করতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। তার নিজের 4 নম্বর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে তাই সেখানে তার স্ত্রীকে প্রার্থী করতে চাইছেন ও নিজে 3 নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে ঘুটি সাজাচ্ছেন।
অন্য দিকে 3 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান বর্তমান কাউন্সিলর লালিতা দাস ও তার স্বামি সোমেন দাস দীর্ঘ বছর ধরে এই ওয়ার্ড থেকে জিতে আসছেন। তিনি নিজে 2 বার জয়ী হয়েছেন। তার বাবা এই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। বর্তমানে স্ত্রী জয়ী হয়েছেন। এমন অবস্থায় চেয়ারম্যান তার ওয়ার্ডে কিকরে প্রার্থী হবেন এনিয়ে ব্যাপক গোষ্ঠী লড়াই চলছে ।
জানা গেছে যে প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের বায়োডাটা চাওয়া হয়েছে । যারা প্রার্থী বাছাই করবেন তারা এই সকল বায়োডাটা নিয়ে বসবেন ও সকলে মাইল লিস্ট ফাইনাল করবেন । তবে পুরোনো তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ এই সকল বায়োডাটা নেতৃত্বের কাছে আদাও পৌঁছাবেতো ?