অবতাক খবর, সংবাদদাতা , মুর্শিদাবাদ  ::   মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আল কায়েদার 6 জঙ্গী কে গ্রেফতার করল এনআইএ। মুর্শিদাবাদের ডোমকল জলঙ্গি এবং জঙ্গিপুরের এগারটি জায়গায় অভিযান চালায় নেশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অর্থাৎ এনআইএ। এছাড়াও কেরালা এর্নাকুলাম থেকে তিনজন আর জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এর্নাকুলাম থেকে গ্রেপ্তার তিন জনাই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।

সবমিলিয়ে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা 9 জঙ্গিকে যারা আল কায়েদার সদস্য হিসেবে কাজ করতো, তাদের গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। সূত্রের খবর দেশে বসেই এদের মারফত দিল্লিতে বিভিন্ন জায়গায় হামলার ছক কষেছিল আলকায়দা । হামলার আগেই এদেরকে ধরে ফেলেছে এনআইএ।

জানা গেছে শুক্রবার গভীর রাত থেকেই মুর্শিদাবাদের ডোমকল জলঙ্গি জঙ্গিপুর এলাকাতে এনআইএ হঠাৎ করে অভিযান চালায় মুর্শিদাবাদ থেকে 6 জনকে গ্রেফতার করা হয় তাদের নাম নাজমুল সাকিব আবু সুফিয়ান মনিরুল মন্ডল আহমেদ আল মামুন কামাল এবং আতিউর রহমান বলে জানা গেছে এদের মধ্যে চারজন ডোমকলের ও দুজন জলঙ্গীর বাসিন্দা। তাছাড়া কেরলের এর্নাকুলাম থেকে যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারাও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তাদের নাম মুর্শিদ হাসান ও মোশারফ হোসেন।

এনআইএ সূত্রে জানা গেছে যে সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত এদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আল কায়দা। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর তাদেরকে জঙ্গী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত করে নেয় আল কায়দা। সোশ্যাল চ্যাটিংয়ের মারফতি এদের মাইন্ড ওয়াজ করা হয় ও তাদেরকে জঙ্গী সংগঠনের সাথে যুক্ত করে আল-কায়দা তাদের দিল্লিতে নাশকতার চালানোর বড় ছিল। এনআইএ সূত্রের দাবি এদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও আইডি বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আল কায়দার মতো কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন যদি বাংলায় এসে ঘাঁটি গাঁড়তে শুরু করে, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ।”

তিনি রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যের পুলিশ তো তৃণমূলকে বাঁচাতে ব্যস্ত, জঙ্গি খোঁজার সময় কই তাঁদের? প্রসঙ্গত, রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগকে তিনি এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তুলেছেন।

উল্লেখ্য এর আগে বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তখন বারবার সতর্কতা জারি করার পরেও ঘুম ভাঙেনি রাজ্য সরকারের বলে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। এমনকি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ঘটনাকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।