অবতক খবর,২৯ আগস্ট,ডুয়ার্স:খরস্রোতা পাহাড়ি মূর্তি নদীর জলে ভেসে যাওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ারের খোঁজে নামলো এনডিআরএফ টিম।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের জলঢাকা থানার অন্তর্গত রকি আইল্যান্ড এলাকায় একটি মেয়ে মূর্তি নদীতে ভেসে যায়। শুক্রবার সেই মেয়েটির খোঁজে মূর্তি নদীতে তল্লাশি শুরু করে জলঢাকা থানার পুলিশ ও এসএসবি জোয়ানরা।
সকাল ১১.১০ মিনিট নাগাদ মেয়েটির খোঁজ করার কাজে কর্মরত অবস্থায় রাজীব তামাং(৩১) নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার আচমকাই মূর্তি নদীর জলে ভেসে যায়।
নদীর জলে সিভিক ভলেন্টিয়ারের ভেসে যাওয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় মেয়েটির দেহ উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের। মেয়েটির পাশাপাশি তারা ভেসে যাওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ারেরও খোঁজ শুরু করে। খবর দেওয়া হয় অন্যান্য উদ্ধারকারী দলকে। ওই দিন বিকালে টিআরআরসি উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। তারাও খোঁজ শুরু করে। শুক্রবার বিকালে মেটেলি থানার পুলিশ কিলকোট চাবাগান এলাকায় ভেসে যাওয়া ঈশা ছেত্রী(১৭) মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়ার এর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
শনিবার দিনভর সামসিং এলাকার লালিগোরাস পিকনিক স্পট থেকে মুর্তি নদীর উজানে ও ভাটা বরাবর খোঁজ চালিয়েও ভেসে যাওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। রবিবার সিভিক ভলান্টিয়ারের খোঁজে নামে এনডিআরএফ এর দল।
তারা কুমাই এলাকার মুর্তি নদীর সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে খোঁজ শুরু করে। অপর দিকে টি আর আর সি দল উপর থেকে ভাটার দিকে খোজ করতে করতে জাতীয় সড়ক পেরিয়ে নীচের দিকে আসে।
রবিবার দুপুর ২টা নাগাদ টি আর আর সি দলের নেত্রী রেখাদেবী জানান, “গতকাল নদীর জলের স্রোত প্রবল ছিল। আজ স্রোতের গতি কিছুটা কম। আমরা লালিগোরাস থেকে গত দুইদিন ধরে খোঁজ চালিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের অনুমান নীচের দিকে খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে”।
বিকাল ৪ টা নাগাদ ভেসে যাওয়া সিভিকের বাবা জানান, “আমরা এন ডি আর এফ দলের সাথে মূর্তি নদী বরাবর মেটেলিমুর্তি চাবাগানের সর্দি লাইন শ্রমিক বস্তি পর্যন্ত এসেছি। এখন পর্যন্ত ছেলের খোঁজ পাইনি”।