অবতক খবর,৮ সেপ্টেম্বর,অঞ্জন শুকুল নদীয়া: নদীয়ার ভীমপুর থানার অন্তর্গত আসাননগর দফরপোতা ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা রানা ঘোষ।
গত রোববার রাতে সে নিজ বাড়িতে ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়। মৃত্যুর পর তার বাড়ি থেকে তার লিখে যাওয়া শেষ একটি চার পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। সুইসাইডনোটে সে এলাকার জনৈক সুদখোর ব্যক্তি চাদু ঘোষের নাম উল্লেখ করে। তার সাথে তার অনলাইন ব্যবসা এবং উৎকর্ষ বাংলার পার্টনার, অরুণ চক্রবর্তীর নাম ও লিখে যায়। এ বিষয়ে কথা বললে তার বাড়ির লোক জানান চালু ঘোষ এক লক্ষ টাকা ধার দিয়ে সুদ সমেত তিন লক্ষ টাকা আদায় করে এবং আরও টাকার জন্য তার ওপর চাপ প্রয়োগ করে। আর অরুণ চক্রবর্তী ব্যবসায়িক কারণে তার সাথে প্রচন্ড দুর্ব্যবহার শুরু করে। যার ফলে মানসিক অবসাদ গ্রস্থ হয়ে হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এ বিষয়ে অরুণ চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, সে জানায় সে ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিল এবং সে নিজের কাছে টাকা পেতো কিন্তু সে বুঝতে পারছে না কেন তার নামে অভিযোগ করে তার বন্ধু আত্মঘাতী হলো। এ বিষয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায় দফরপোতা ঘোষপাড়ায় অধিকাংশ লোকই চড়া সুদের ব্যবসা করে এবং তারা টাকা ধার দিয়ে জোরপূর্বক চড়া সুদ আদায় করে। গোটা ঘটনাটার বিবরন সহ ভীমপুর থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছে মৃতের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ।