অবতক খবর, সংবাদদাতা,মেদিনীপুর :: মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা’র অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মী তপস্বীরাম ঘোষ (৮৭)। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর থেকে)। ভর্তি হয়েছিলেন মেদিনীপুর শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। অবিলম্বে প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল ৩ ইউনিট রক্ত। কিন্তু, তাঁর A+ গ্রুপের রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না কোথাও! মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে মাত্র ১ ইউনিট রক্তই পাওয়া গিয়েছিল শনিবার (২১ ডিসেম্বর)।
এই অবস্থায়, রক্তের আবেদন জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেন।সমাজকর্মী মণিরাজ ঘোষের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়, মেদিনীপুর শহরের “দিশারী ফাউন্ডেশন” এর অন্যতম কর্ণধার শেখ ইসমাইলের সাথে। মূলত তাঁর তৎপরাতাতেই, তাঁদের ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য শুভম মিশ্রের পরিচিত এক বান্ধবী সুদীপ্তা মন্ডল রক্তদান করতে রাজি হয়ে যান। সুদীপ্তা মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) এর ইংরেজি (স্নাতক) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আজ সকালে, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদান করেন তিনি।
অপরদিকে, ওই পরিবারেরই এক আত্মীয়, সুমনা মন্ডলও আজ সকালে একই সাথে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্তদান করেন। সুমনা বিষ্ণুপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রী।
দুই কলেজ-পড়ুয়া অষ্টাদশী ‘বীরাঙ্গনা’র এই সাহসী পদক্ষেপ তথা সহমর্মিতাতায় উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যবৃন্দ থেকে শুরু করে ব্লাড ব্যাংকের কর্মীবৃন্দ সহ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকে।
আর এভাবেই, মাতঙ্গিনী হাজরা, রানী শিরোমণি’ দের মেদিনীপুরে মানবিকতার এক অনন্য নজির স্থাপন করে মেদিনীপুর কে আরো একবার গর্বিত করলেন, এই দুই তরুণী ‘বীরাঙ্গনা’ !