অবতক খবর,৪ জানুয়ারি,গঙ্গাসাগর: সামনেই পৌষ সংক্রান্তি। শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজ গঙ্গাসাগরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সাগর মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শনের পর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন তিনি। নয়া হেলিপ্যাডেরও উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া, বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করবেন। পরে কপিলমুনির আশ্রমে পুজোও দেবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই কপিল মুনির আশ্রম থেকে শুরু করে সমগ্র মেলা চত্বর ঘিরে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছেন মেলা প্রাঙ্গণের সমস্ত খুঁটিনাটি। ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি সাগরে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারবেন তীর্থযাত্রীরা। এবার কুম্ভমেলা না থাকায় গঙ্গাসাগরে রেকর্ডসংখ্যক ভিড় হবে বলে অনুমান প্রশাসনের।
এমনকী ডুমুরজলার আদলে তৈরি হয়েছে সাগরের নয়া হেলিপ্যাড। অবতরণের পর হেলিপ্যাডের উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দুপুরের পর থেকে একাধিক কর্মসূচি নিতে পারেন বলেই সূত্রের খবর। অন্যান্য বছরের মত সাগরের ভারত সেবাশ্রম সংঘে সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। এরপর সাগরধামে কপিলমুণির মন্দিরে পুজো দিতে পারেন মমতা। মেলা প্রাঙ্গনের প্রস্তুতি ঘুরে দেখে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতার সম্ভাবনাও তাঁর দু’দিনের সাগর সফরে থাকছে। রাতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাগরস্নানের আগে প্রশাসনের চিন্তা ভাঙন। কপিলমুনির আশ্রমের সামনে সমুদ্রতট ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেটা সারানোর কাজ চলছে। প্রায় ৭০ মিটার লম্বা সমুদ্র তটে পরিবেশবান্ধব বস্তায় বালি ভরে ফেলা হচ্ছে। মেলা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়, সেজন্য কপিল মুনির আশ্রমে প্রার্থনাও করবেন মমতা। ভারত সেবাশ্রম সংঘেও যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনার দাপট না থাকায় এ বছর পূণ্যার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে আগেই ধারনা করেছিল রাজ্য সরকার। তাই নিরাপত্তাকে জোরদার করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-সহ অন্যান্য পরিষেবা নিয়ে প্রস্তুত থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাদের আশা, এবারে অন্তত ৬০-৭০ লক্ষ মানুষ মেলায় যাবেন।