শ্রম ঘাম রক্তে এই পৃথিবীকে গড়ে তুলেছে, তুলছে দুনিয়ার মজদুরেরা। সভ্যতার ইতিহাসে এটি এক যুগান্তকারী দিন— মে দিবস,মে দিন। লাল পতাকা উড্ডীন…
মে দিবসের বর্ণ সজ্জা
তমাল সাহা
এইতো সময় এখনই পতাকাটা তুলে ধরো।
পতাকাটা যারা টেনে নামাতে চাইছে
কব্জি চেপে ধরে তাদের।
তোমার বজ্রমুষ্ঠি তো মেহনতের।
তোমার তো হারানোর কিছু নেই শৃঙ্খল ছাড়া।
উঁচু, আরো উঁচু করে ধরো পতাকাটাকে।
কারখানায় লকআউট তবু পতাকাটা উড়ছে।
কেননা লড়াই জারি আছে।
পতাকাটার এতো শক্তি
ওরা জোর করে টেনে নামাতে চাইছে।
এ পতাকা নামানো যায় না,
শুধু ওড়ানো যায়।
মায়ের কপালে সিঁদুর
সূর্যের গায়ে ওই যে রং লেগে থাকে চিরদিন,
পতাকাটা ওই রঙে শাশ্বত রঙিন।
পতাকাটা উড়ছে….
এখন মে মাস।
দেখো আকাশ কেমন লাল হয়ে আছে!
তোমার চেনা ফুল
কৃষ্ণচূড়া পলাশ শিমুল মান্দার
কথা বলছে পতাকাটার সঙ্গে।
পতাকাটা উড়ছে, পতাকাটা ওড়াও।
দুঃসময় পথ বড়ই আঁকাবাঁকা।
পতপত করে ওড়ে তেজবান হাওয়ায়
তাই ওর নাম পতাকা।
এই তো সেই পতাকার রং চলমান স্রোত নিয়ে ছুটে চলেছে ধমনীর ভিতর।
পতাকাটা ওড়াও,
ওড়াতেই হবে তোমাকে এই পতাকা।
এই পতাকা দিয়েছে আমাদের,
মে দিবসের রক্তকণিকা।