অবতক খবর ::২৪ মার্চ :: করোনা ভাইরাস কত ভয়াবহ তা বুঝিয়ে বলেছেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বারবার হাত জোর করে বলেছেন ঘরে বন্দী থাকুন।এই মারাত্মক রোগের একমাত্র ওষুধ নিজেকে আটকে রাখা,
এক অন্তরীণ জীবনযাপন।পৃথিবীতে মৃত্যুর হার কিভাবে বেড়ে চলেছে তারই মধ্যে তিনি ওয়াদা করেছেন ভারতবর্ষকে তিনি বাঁচাবেন।তিনি বলছেন ২১ দিন সময়।
ভারতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি যেমন ভাবে কাজ করছে তাতে তিনি ২১ দিন সময় চেয়েছেন।তিনি নিশ্চিত এর মধ্যেই মানুষের এই দুর্যোগ থেকে অবসান ঘটবে এমনই আশাবাদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।সরকারি নির্দেশকে আমাদের মান্যতা দিতে হবে। ঘরবন্দী থাকায় যে এই রোগের একমাত্র নিরাময়ের ওষুধ সেটা আমরা বুঝে গেছি।
রাজ্য সরকার এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখবে এবং তার দায়িত্বই বা কতটুকু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি এই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ কিছুই বলেননি। মানুষ ঘরেই থাকতে চায় কিন্তু জিনিসপত্র খাদ্যসামগ্রী কি করে পাবে?
করোনা আতঙ্ক ইতিমধ্যেই মানুষ বুঝে নিয়েছে কিন্তু পেটের আতঙ্ক?
এই দায়িত্ব কে নেবে। আমরা অঞ্চল ঘুরে ঘুরে দেখেছি ওয়ার্ডের মানুষরা বুঝতে পেরেছে এই সংক্রমণ রোধের জন্য তাদের মাস্ক চাই ,তাদের স্যানিটাইজার চাই—
এই চাহিদা আদৌ মানুষের মেটাতে পেরেছে কি সরকার?
বারবার টিভিতে মুখ দেখিয়ে অনেক কথা বলা যায়
কাজ কতটুকু হলো সেটুকু দেখবে কারা?সে দায়িত্ব পাচ্ছে কারা? প্রধানমন্ত্রী কি মুখ্যমন্ত্রী কেউই এই বিষয়ে কিছু বলছেন না। তারা বলছেন আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না, ভয় পাবেন না। মানুষ দেখছে মৃত্যুর হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তবুও মানুষ ভয় পাবে না এটা কোন বৈজ্ঞানিক বাস্তব কথা হল!
এইসব সমস্যা জনপ্রতিনিধিরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবেন না? তাহলে ওয়ার্ড কমিটি হয়েছে কেন? কেন কাউন্সিলর প্রার্থী তৈরি হয়েছে?
তারাও কি নিজেদের ঘরে আবদ্ধ রাখবেন?কিছু সময়ের জন্য তো জরুরী অবস্থা মনে করে মানুষের সাথে সংযোগ করবেন। অভাব অভিযোগ জানতে চাইবেন।একটু ঝুঁকি নেবেন না?ভোট আসলে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাতজোড় করেন না?
যখন এই সংবাদটি করছি তখন ও ঝুঁকি নিয়ে অলিতে-গলিতে ঘুরছি পুলিশ টহল দিচ্ছে
প্রেস কার্ড দেখিয়ে যতটুকু সম্ভব সংবাদ সংগ্রহ করতে পারছি।রাস্তার অলিতে-গলিতে ভিড় মানুষ কিছু কিনবেন।
অদ্ভুত একটি বোধ মানুষের মধ্যে জাগ্রত হয়েছে।নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছি।করোনা আমাদের শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে যাবে জানিনা,তবে কিছুটা শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে একথা অস্বীকার করি কেমন করে!