অবতক খবর: মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হল লোকসভায়। কংগ্রেসের পাশাপাশি বিআরএসও প্রস্তাব এনেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বিতর্ক কবে হবে, সেই তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা করবেন স্পিকার ওম বিড়লা। এদিন সমস্ত বিরোধী সাংসদরাই উঠে দাঁড়িয়ে অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন জানান।
বুধবার সকালে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস সাংসদ তথা সহকারী সংসদীয় নেতা গৌরব গগৈ। পাশাপাশি বিআরএসের ফ্লোর লিডার নাগেশ্বর রাও-ও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। তবে বিরোধীদের আনা এই প্রস্তাবে সরকারের কোনও সংকট তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। বিপুল সমর্থন রয়েছে শাসক দলের। তাহলে কেন এই প্রস্তাব। এই প্রসঙ্গে বিরোধীরা জানিয়েছে, মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রের নীরবতা ভঙ্গ করাই লক্ষ্য। আর সেই কারণেই এই প্রস্তাব। এদিকে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ জোশি জানিয়ে দিয়েছেন, “মানুষের আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির ওপর।”
এদিকে বিজেপি বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘আত্মঘাতী গোল’ বলে কটাক্ষ করেছে। এর জবাবে এদিন লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ”বিজেপি কী বলছে সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, আমাদের কথাগুলো ওখানে (সংসদে) বলা যাবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে আজকের দিনটা খুবই উজ্জ্বল।”
উল্লেখ্য, মণিপুরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি কেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জবাব দিতে হবে। এই দাবিতে সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই সরব বিরোধীরা। এমনকী সোমবার বিরোধী সাংসদরা ধর্না দিয়েছেন বহু বিরোধী সাংসদ। কিন্তু তাতেও প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিতে রাজি হননি। অবশেষে আনা হল অনাস্থা প্রস্তাব।