দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল থাকল ধর্মতলা। অবরুদ্ধ হয়ে থাকল শহরের প্রাণকেন্দ্র। যার ফলে তীব্র যানজট। ফলে দুর্ভোগে পড়েন অসংখ্য মানুষ। যদিও নির্ধারিত সময়ে মোদী কলকাতা ছাড়তেই উঠে যায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ কর্মসূচি। শনিবার সকাল থেকে চলা মোদী বিরোধী বিক্ষোভ অবশেষে ওঠায় কার্যত হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা।
শনি বারের পর রবিবারও শহরে ছিল মোদী বিরোধী আন্দোলন। এদিন বেলা পৌনে ১২ টা নাগাদ আন্দোলনকারীদের একটি দল ডোরিনা ক্রসিং থেকে ধর্মতলার দিকে চলে যায়। সেখান থেকে তারা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যেতে চায়। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ধর্মতলায় আটকে দেয়। চারিদিকে ছিল পুলিশের কড়া বেস্টনি। আন্দোলনকারীরা বাধা পেয়ে ধর্মতলায় রাস্তার ওপরেই বসে পড়েন। ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র।
এদিকে রবিবার সকাল ১১ টায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। তার আগে বিক্ষোভকারীরা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম এর কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। সে সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল কালো বেলুন, কালো পতাকা এবং মোদী গোপ ব্ল্যাক লেখা প্লাকার্ড।
কার্যত শনিবার থেকে রবিবার। শহরের প্রাণকেন্দ্র অবরুদ্ধ থাকার পরে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে তাদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন। ততক্ষণে মোদী রেসকোর্স ময়দান থেকে চপারে চড়ে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রবিবারও পড়ুয়া এবং বাম-কংগ্রেসের বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল । সকাল থেকে ধর্মতলা সহ শহরের একাধিক রাস্তা আটকে চলছে বিক্ষোভ। বেলুড় মঠ থেকে যে রাস্তায় কলকাতায় ফিরে আসেন মোদী, সেই রাস্তায় বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ‘আজাদি’, ‘নরেন্দ্র মোদী গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে দিতে রাজভবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কয়েক হাজার পড়ুয়া। যার নেতৃত্বে মূলত বামপন্থী সংগঠনগুলি। কিন্তু কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় তা সম্ভব হয়নি।
যদিও আজ রবিবার সকাল থেকে ফের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। সমস্ত এলাকায় অত্যাধিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেটিংও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীন শনিবার শহরে আসার আগে থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই বিক্ষোভ কর্মসুচি। যদিও অনেকেই ধর্মতলাতেই থেকে যান। এদিন সকাল হতেই ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। কারোর হাতে জাতীয় পতাকা কেউবা মোদী-বিরোধী স্লোগান দিতে দিতেই বসে পড়েন রাস্তার উপরে। তাঁরাই পরে স্প্রে রং দিয়ে রাস্তার উপরে লিখতে শুরু করেন ‘গো ব্যাক মোদী।