অবতক খবর: মোহনবাগানের ঘরের ছেলে প্রীতম কোটাল। প্রীতম কোটাল নামের সঙ্গে সবুজ মেরুন জার্সি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেই প্রীতমকে এবার আর সবুজ মেরুন জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে না।
শুক্রবার বাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল নিজেই সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টা সামনে এনেছেন।
সামাজিক মাধ্যমে প্রীতম লিখেছে,” কিচ্ছুটি থেমে থাকে না। পায়ে পায়ে পাড়ি দেয় অন্য কোথাও। তবুও ফেলে আসা সময়টুকু সাথে থেকে যায়। সেই সবুজ মেরুনের আবেগ, গ্যালারিতে সমর্থকদের চিৎকার, তাদের হাসি, তাদের চোখের জল, সতীর্থদের ভালোবাসা এগুলো না হয় জমা থাকুক আমার মনে। একসাথে বেঁধে থাকা এতগুলো বছর। অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে নতুন করে পাওয়া। সবকিছুই আমার সঞ্চয়কে আরও পরিপূর্ণ করেছে। তবে আপাতত টান টান উত্তেজনা নিয়েই মোহন বাগান -এর হয়ে খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেছে। বলতে দ্বিধা নেই নিজেকে উজাড় করে দিয়ে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আসলে কী জানেন তো, বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ে পা থেকে বলটা কাটানো যায় কিন্তু এই সবজু মেরুনের মায়াটা কাটানো সত্যি একটু কঠিন হয়ে যায়। সবাইকে অফুরান ভালোবাসা। আবার দেখা হবে নতুন কোন একদিনে…..
#JoyMohunBagnn @mohunbagansg ”অত্যন্ত আবেগঘন এই পোস্ট প্রীতমের।
প্রসঙ্গত, গত সিজনে আইএসএল জয়ী সেই ক্যাপ্টেন প্রীতম কোটালকেই এবার সোয়াপ ডিলে ছেড়ে দিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সাহাল আব্দুল সামাদের সঙ্গে সোয়াপ ডিলে প্রীতম কোটালকে কেরালা ব্লাস্টার্সে পাঠিয়ে দিল সবুজ মেরুন শিবির।গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গুঞ্জন চলছিল এই নিয়ে। একদম প্রাথমিকভাবে হরমিপন রুইভার সঙ্গে প্রীতম কোটালের সোয়াপ ডিল চেয়েছিল মোহনবাগান। সেই ডিল বাস্তবায়িত হয়নি। শেষমেশ প্রীতম কোটালের সঙ্গে সামাদের সোয়াপ ডিলে রাজি হয়ে গেল কেরালা।
মোহনবাগানের হয়ে খেলেছেন। এটিকের হয়েও খেলেছেন। মার্জারের পর টানা চার বছর সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। এবার ঘরের ছেলে প্রীতম কোটালের গন্তব্য কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি। ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, সাহাল এবার মোহনবাগানে এবং প্রীতম কেরালার জার্সি গায়ে চাপাবেন। সেই সঙ্গে বড়সড় আর্থিক দাবিও মেটাতে হয়েছে বাগান শিবিরকে।সাহাল তিন বছরের জন্যে এবং প্রীতম ৫ বছরের জন্যে কেবিএফসিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯০ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার ফি হয়েছে।