অবতক খবর , সৌরভ নস্কর , দক্ষিণ 24 পরগনা :– মৌশুনি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো ডাক্তার নেই। তাই স্থানীয় মানুষরা নদী পেরিয়ে দীর্ঘ প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে দ্বারিকনগর গ্রামীণ হাসপাতালে অসুস্থ রোগিকে নিয়ে যেতে হয়। এই রকম টাই দীর্ঘ দিন হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বিভিন্ন জায়গায় জানিয়ে ও কোনো লাভ হয়নি। বর্তমানে ওই হাসপাতালে ৪জন নার্স ও একজন কমপাউন্ডার আছে। কিন্তু ডাক্তার না থাকার জন্য সাধারণ মানুষের কোনো রোগ হলে ভরসা পাচ্ছে না। হাসপাতালটা পরিচর্যার অভাবের জন্য কোথাও দেয়াল ফেটে গেছে আবার কোথাও দেয়ালে গাছ গজিয়েছে। বর্তমানে হাসপাতাল চত্বরে গরু, ছাগল চড়ে বেড়ায়।
১৯৭৬সালে নামখানা ব্লকের মৌশুনী গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগডাঙ্গা গ্রামে মৌশুনীর মানুষের কথা ভেবে কয়েক বিঘা জমির উপর একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। হাসপাতালে শুরুর দিকে ডাক্তার থাকলে ও পরে চলে যায়। তাই এলাকার মানুষকে এখন চরম ভোগান্তি পড়তে হয়। বর্তমানে এই দ্বীপে প্রায় ২০হাজার মানুষের বসবাস। রাত বিরেতে কেউ অসুস্থ হলে নদী পেরিয়ে দ্বারিকনগর নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় প্রাণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আজ সকাল দশটার সময় ইয়ং জেনারেশন অফ মৌশুনি নামের স্থানীয় একটি সংগঠন প্রায় হাজারখানেক মানুষ নিয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান এবং মৌশুনির বিভিন্ন এলাকায় টোটো ও বাইক নিয়ে ঘুরে জনসংযোগ বাড়ান ৷তাদের দাবি অবিলম্বে মৌশুনী দ্বীপে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চব্বিশঘন্টা জন্য ডাক্তার নিয়োগ করতে হবে ৷ না হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন ৷