অবতক খবর , অভিষেক দাস , মালদা :- তৃণমূলের এক নেতার বাড়ির সামনে বিবাহিতা দ্বিতীয় স্ত্রীর ধর্ণার জেরে বিশাল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামে।যদিও সকাল থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা।তবে মোবাইলে তার সাথে কথা বললে আজ সকালেই সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনটাই দাবি অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার।
জানা গেছে,মহেন্দ্রপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রুস্তম আলি যিনি এলাকায় তৃণমূলের এক নেতা বলেই পরিচিত।প্রথমে দীর্ঘ কয়েক বছর পূর্বে চাঁচল থানা এলাকার এক যুবতীর সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়।এমনকি ওই যুবতী ও অভিযুক্তর দাম্পত্য জীবনে রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে।তবে বছর খানেক পূর্বে তার স্ত্রীর সাথে সাংসারিক বচসা শুরু হলে বাবার বাড়িতে চলে যায় অভিযুক্ত নেতার প্রথম স্ত্রী।
ফলে সে তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে আর সংসার করবে না।তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে বলে স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয় বিহারের বাসিন্দা ওই যুবতীর পরিবারকে।এদিকে বাড়িতে মেয়ের বয়স ১৮ প্লাস। বিবাহের উপযুক্ত মেয়ে।আর ছেলের আর্থিক অবস্থাও ভালো।এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা এবং তার বাবা যখন ছেলের পক্ষে সম্মতি দিচ্ছেন তখন আর সমস্যা কোথায়।
এই কথা ভেবে বিয়েতে সম্মতি দেই ওই যুবতীর পরিবার।এদিকে প্রায় মাস খানেক পূর্বে বিহারের কাটিহার জেলার অন্তর্গত আজমনগর থানা এলাকার এক যুবতীকে নগদ প্রায় ১ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে বিয়ে করে এবং বাড়িতে নিয়ে আসে।প্রায় ১৫ দিন পর্যন্ত স্বামীর বাড়িতে থাকার পর বাবার বাড়ি যায় ওই যুবতী।দ্বিতীয় স্ত্রী বাড়ি থেকে যেতেই প্রথম স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে অভিযুক্ত নেতা।এর পর বিহারের বাসিন্দা ওই যুবতী তথা দ্বিতীয় স্ত্রীকে আর কোনো গুরুত্ব না দেওয়ায় সোমবার সকালে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসে বিহারের ওই যুবতী।স্বামীর বাড়িতে আসতেই ওই যুবতীকে মারধর করতে শুরু করে তার স্বামী।ঘটনায় চিৎকার চেঁচা মেছি শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা।
এমনকি ওই যুবতীকে ডিভোর্স দিয়েছে বলে দাবি অভিযুক্তর।ফলে স্বামীর এই প্রতিক্রিয়া শুনে পায়ের নীচের মাটি সরে যাওয়ার অবস্থা হয় ওই যুবতীর।যদিও বিয়ের প্রায় মাস খানেকের মধ্যে ডিভোর্স!তা আবার সমাজ সহ যুবতীর অজান্তে। যা প্রশ্নের মুখে!এই ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।ফলে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসে ওই যুবতী।
তার দাবি যতক্ষন পর্যন্ত সে স্বামীর বাড়িতে ন্যায্য অধিকার পাবে না।সে ততক্ষন সেখানেই বসে থাকবে। অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবক তথা তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবার সহ স্থানীয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রাও। অভিযুক্ত রুস্তুম আলি ও তার বাবা কালাম আলি সহ স্থানীয় বাসিন্দা সেখ জামাল,শেখ নাজিম এবং রেনু বিবি ওই যুবতী ও যুবতীর পরিবারের সাথে প্রতারণা করছে।ফলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন যুবতী ও যুবতীর পরিবার সহ মহেন্দ্রপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা।