যে কবির কবিতায় জীবন সংগ্রামের কথা থাকে, সাধারণ মানুষের যাপিত জীবন দৃশ্যময় হয়ে ওঠে সেই কবিই তো আমাদের সঙ্গে থাকে, আমাদের পাশে থাকে।
যে কবির ঘুম নেই
তমাল সাহা
১) কবি তখন গান
অমন একটা ছোট্ট পুঁচকে কবি
তার জীবন পতাকা বাতাসে ওড়ে…
তার কবিতা গান হয়ে পৌঁছে গেছে মানুষের ঘরে ঘরে!
২) রুটির কবি
আমি রণক্লান্ত নই
আমি এখনো অক্লান্ত
আমি তোমাদের পাশের বাড়ির সুকান্ত!
আমাকে যদি চাও দেখতে
আকাশে তাকিও দিনেরাতে।
রক্তিম ভোরের কথা বলেছিলাম
রুটির কথা বলেছিলাম
আমি কী আর এমন কবি!
আকাশের গায়ে দেখো তার ছবি।
৩) বাতিওয়ালা
বাতিওয়ালা বলেছিল, প্রিয়তমাসু!
দিগন্তে প্রত্যাসন্ন সর্বনাশের ঝড়।
স্পর্শের সময় নয় এখন
পাশে থাকো সঙ্গে থাকো
এ তো তোমার আমার প্রস্তুতির প্রহর।
৪) প্রারম্ভ
ছাড়পত্র দিয়ে শিশুর দায়িত্ব নিয়ে
কলমে অক্ষর সাজানো করেছে শুরু।
তুমি জানো নিশ্চিত বিদ্রোহের প্রয়োজন
বিদ্যুৎ চমকায় মেঘ গর্জন গুরু গুরু!
৫) আমি শিখি
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়–
একথা আমি তোমার থেকেই প্রথম জানি।
আরো জানি এরপর আমাদেরই লিখতে হবে আসল প্রবন্ধখানি।
একথা জানাতেই
তুমি ধারালো করেছো কলমের নিবখানি।
৬) চাঁদরুটি
কত সহজে
চাঁদকে বানিয়ে দিলে ঝলসানো রুটি!
এই চিত্রকল্পে বড় বড় কবিরা চমকে গেল
দেখালো তোমায় ভ্রুকুটি।