নরেশ ভকত :: অবতক খবর :: বাঁকুড়া :: আজ সকালেই বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসকের দফতরে ঘটে গেল আগুন লাগার ঘটনা। তবে কিভাবে সেই লাগলো আগুন সে বিষয় জানা যায় নি। জানা যায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিল্ডিং এর ভিতরে ৩০ থেকে ৪০ জন কর্মী আটকে পড়েছে। বাজতে শুরু হয় বিপদের ঘন্টা। শুরু হয়ে যায় হইচই। ঘটনা স্থলে পৌঁছে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা এবং দমকল বিভাগের কর্মীরা। দমকলের কর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা উঠে পড়ে বিল্ডিং এ আটকে পড়া কর্মীদের একে একে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনেন। আটকে পড়া সমস্ত কর্মীকে উদ্ধার করা গেলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি মহকুমা শাসকের দফতরের তিন কর্মীর। তাদের খোঁজে ফের শুরু হয় তল্লাশি।
বিল্ডিং এর ভিতরে কোন জায়গায় তারা আটকে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়। অবশেষে ওই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে বিল্ডিং এক রুমে আটকে থাকা তিন কর্মীদের অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসেন দমকলের বিশেষ বাহিনী। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। এই খবরে সকাল থেকেই মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে জমে যায় মানুষের ভিড়। দীর্ঘ সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে দমকল। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীদের বিশেষ তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলো মহকুমা শাসকের দফতরের কর্মীদের প্রাণ। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখে দমকলের কর্মীরা।
এতক্ষণ যা দেখলেন তা ঘটনা নয় এটা হলো নাটকীয় ভংগিমা। দমকল বিভাগ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর কর্মীদের যৌথ ভাবে নাটকিয় ভংগিমাতে দেখালো যে তারা কোন ভাবেই পিছিয়ে নেই। এমন ঘটনা ঘটলো এই দুটি দপ্তর যৌথভাবে কিভাবে কাজ করবে তারই নাটকের ভংগিমাতে হল বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসকের দপ্তরে। আগুন নেভানোর জন্য কোন কোন ফায়ার এক্সটিংগুইশার কাজে লাগানো হয় তার ও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এদিনে।
মহকুমা শাসকের দপ্তরের পর লাল বাঁধের গভীর জলে নৌকা থেকে পড়ে যায় তিন যুবক। জলে ডুবতে শুরু করে তিন যুবক। অতি দ্রুততার সহিত বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা ডুবে যাওয়া যুবকদের প্রাণ রক্ষা করে। এদিনের এই দুটি নাটকীয় ভংগিমার মাধ্যমে ওই দুটি দফতর যৌথ ভাবে একযোগে কাজ করার আগাম প্রস্তুতিও সেরে নিলো। আগামী দিনে যে কোন বিপর্যয়ের সাথে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বা তারা কোন ভাবেই পিছিয়ে নেই তারই প্রমাণ দেখালো দুই দপ্তরের কর্মীরা।