স্বাধীন দেশ। ফলত স্ক্যাম এবং কাটমানিতেও চরম স্বাধীনতা। নেতারা ওস্তাদ বড়, লজ্জা নেই তাদের, তারা এতই দৃঢ়চেতা! ওরা ওদের ইচ্ছেমত খেলে যাচ্ছে ‘গেম ‘। তোমার আমার শুধু ফাঁকা বুলি,শেম শেম।
রক্ত ও তস্কর বিষয়ক
তমাল সাহা
কোনো মানে হয় না,
রক্ত নিয়ে কবিতা লেখার।
শুদ্ধ-অশুদ্ধ রক্তের কথা তো জানি
আর রক্ত নিয়ে যা বলার বলে গিয়েছেন
উইলিয়াম হার্ভে এবং ল্যান্ডস্টেইনার।
কবি তো আর বিজ্ঞানী নয়,
সে কি রক্তের কিছু জানে?
কোন রক্ত লাগে
কখন কেন কোনখানে?
কবি শুধু ভাবে
বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ কি থামে?
কবি চালাতে থাকে গবেষণা।
শাসক মাত্রেই কেন রক্তের ভক্ত,
তার রক্তে আছে কি
কোনো বিশেষ রক্তকণা?
বিজ্ঞানী কি এসব জানে,
বদরক্ত বলতে কি বোঝায়?
এসব কি আছে তার জ্ঞানে?
কবি ভাবে
রক্তের কোন কণিকাতে
লুকিয়ে থাকে চৌর্যপ্রবৃত্তি?
মন্ত্রী হওয়া মাত্রই কেন
সে ধারণ করে তস্কর আকৃতি?
কবি ভাবে
মাটির শরীরে তো কোনো রক্ত নেই,
তাতে তো চলমান রসের রেশ।
তবে কি করে এই উপমহাদেশ
হয়ে গেল মহা মহা চোরেদের দেশ?
ফলত কান টানলে মাথা আসে
আরও আনুষঙ্গিক প্রশ্ন জড়ো হয় মাথায়,
জটিলতা ক্রমাগত পৌঁছায় চরম মাত্রায়।
কবি আরো ভাবে
মন্ত্রীরা তস্কর হয় নাকি
তস্কররাই হয় মন্ত্রী?
অনেক গবেষণায় ব্যর্থ সে
বন্ধুর কাছে উত্তর খুঁজে পায়—
আরে, এটা তো গণতান্ত্রিক দেশ!
মন্ত্রীরাই তো গণতন্ত্রী।
গণতন্ত্রের অর্থই তো
মন্ত্রীরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।
মন্ত্রী পাল্টালেও অন্য মন্ত্রী
এসে তাই করে।
এতো সহজ উত্তর,এতো ছিল জানা!
কবি লজ্জিত হয়
প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় নিজের গালে
থাপ্পড় মেরে বলে,
এও বলতে পারলে না!
কবির শেষ পর্যন্ত বুদ্ধি খোলে—
সে এবার সহজেই বোঝে
এগারো হাজার কোটি টাকা কর্জ নিয়ে
তিন হাজার কোটিতে মর্মর মূর্তি!
বাকি আট হাজার!
মহাচোরেদের পকেটে যায়
একেই বলে গণতান্ত্রিক ফুর্তি।