অবতক খবর,২২ জুনঃ কয়েকদিন আগে গঙ্গার তীরবর্তী কাশিপুর এলাকার ১/৩,চন্দ্র কুমার রায় লেনের রাস্তায় ধস নেবে ৮ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রতন বাবুর ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আটটি বাড়ি। প্রায় 70 জন মহিলা পুরুষ ঘর ছেড়ে পাশেই একটি বিদ্যালয় আশ্রয় নেয়।

এদিন ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতিন ঘোষ।

কলকাতা পুরসভার ড্রেনেজ ও বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে যে রিপোর্ট তৈরি করেছেন,তাতে মূল সুয়ারেজ লাইন থেকে শহরের নিকাশির জল সরাসরি গঙ্গায় ফেলার বিষয়টি বন্ধ করার যে নির্দেশ ইতিমধ্যে গ্রিন ট্রাইবুনাল দিয়েছে তা মানতে গিয়েই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

তার কারণ আগে সরাসরি শহর কলকাতার নিকাশের জল গঙ্গায় ফেলা যেত। গঙ্গা দূষণ প্রতিরোধ করতে নোংরা আবর্জনা কৃত জল আর গঙ্গায় ফেলা যাবেনা। তাই কাশীপুরের এই অংশে জল বের হওয়ার মুখ আটকে দেওয়া হলে সেখানে জলের বিপরীত মুখী ফোর্স তৈরি হওয়ার কারণেই এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে বলে এদিন জানালেন অতীন ঘোষ।

যদিও মূল কারণ খুঁজে বার করতে আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলেও এ দিন জানান তিনি। পাশাপাশি বিকল্প রাস্তা দিয়ে এই নিকাশি জল গঙ্গায় ফেলার ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়েও উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চলছে রাজ্য সরকারের ইরিগেশনের সঙ্গে। এরিন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ও মেয়র পরিষদ গণের উপস্থিতিতে মেয়াদ পরিষদের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে বলেও এ দিন জানান অতীন বাবু।

শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভা বা রাজ্য সরকারের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়,এই সমস্যার সুদূর প্রসারী সমাধান করতে গেলে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে গঙ্গার তীরবর্তী ভেঙে যাওয়া স্থানগুলিরও রক্ষণাবেক্ষণ দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।