শ্রাবণ মাসে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এই বৃষ্টিধারায় একটু ভাবি
রবীন্দ্রনাথ ও বাপ-বেটি
তমাল সাহা
বাপ! ই কিমন ঠাকুর রে? ইর কুনো মন্দির লাই? মুদের পাড়ায় তো দুর্গা দালান আছেক। শিব- কালী মন্দির আছেক। বুছর বুছর পুজা হয় তো বুট্যে, আবার হররোজও পুজা হয়। ইসব ঠাকুরের মন্দির আছে, দালান আছে, পুরুত আছে।
সিবার কোলকাত্তা ঘুইরে ঘুইরে কোত্ত ঠাকুর দেখাইলি তু! কুড়ি ফুট, তিরিশ ফুট উঁচা। তুর ই ঠাকুর কত উঁচা হয় রে বাপ?
ই ঠাকুর বহুত বহুত উঁচা হয়, ওর কুনো মাপজোক লাই রে!
বাপ! আকাশ সুমান উঁচা হয়?
হয় রে হয়! তার চেয়েও উঁচা হয়। ই ঠাকুরকে যত্ত পড়বি, তত্ত জানবি। তত্ত উঁচা হয়। তুর ইচ্ছামতো উঁচা করা যায়।
বাপ! ই ঠাকুরের হাতে অস্তর লাই? যিমন দুগ্গা ঠাকুরের আছে। যিমন ঠাকুরদের হাতে থাকে। বর্শা, ত্রিশূল, খড়্গ, তীর-ধনুক ইসব?
আছে তো বুট্যে! সে অস্তর হইল্য কোলম রে কোলম। শুন! ই ঠাকুর তো আলোর ঠাকুর রে! রবিঠাকুর।
ই ঠাকুরেরও মন্দির, দালান আছে। মাইনষের মনের ভিতর! ই ঠাকুর সবার লিগে।সব কামেই লাইগে।
মুরা নীচা জাত হইল্যে কি হবেক, মুদের লিগ্যেও লিখে।আর ই ঠাকুরের পুরুত হল তু আর মু আর এ দুনিয়ার মানুষ।
ই ঠাকুর হইল রবিঠাকুর —
আলোর ঠাকুর।
সুয্যি ঠাকুর আকাশে থাইক্যে,
রবিঠাকুর মাইনষের সঙ্গে থাইক্যে।