অবতক খবর,২৫ মার্চ,নন্দীগ্রাম: সেই ২০০৭ সাল থেকে সব সময়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ভূমি আন্দোলনের হাত ধরে। ।
২০১১ তে ক্ষমতায় এলো তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষণা অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামেও তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল শুধু হাসপাতাল নয় পূর্ব মেদিনীপুরের স্বাস্থ্য জেলা বর্তমানে নন্দীগ্রাম।। স্বাস্থ্য জেলা ঘোষণা হওয়ার পরে যানজট এড়ানোর জন্য এই বাইপাস রাস্তা তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার।
নন্দীগ্রামের অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নন্দীগ্রাম বাইপাসের রাস্তা।
নন্দীগ্রাম কে খেজুরী থেকে চন্ডিপুর একটি সুতোয় বেঁধে রেখেছে এই নন্দীগ্রাম বাইপাসের রাস্তা।
গাড়ি চালক থেকে শুরু করে এলাকাবাসী স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,”দীর্ঘ প্রায় এক বছরেরও বেশি হতে চললো, নন্দীগ্রাম বাইপাসের রাস্তা খানাখন্দে ভরপুর, যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একটু বর্ষা হয়ে গেলে খানাখন্ড জলে ডুবে যায়।
বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।”
সুরাহাই বা হবে কি করে?
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এবং রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপি একে অপরকে দোষারূপ করেই চলেছে।
মাঝখান থেকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে অসুস্থ পেশেন্ট, গাড়ির চালক, যাত্রী,সহ এলাকাবাসী।
গত 2023পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামের দুটি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে বিজেপি বেশিরভাগ পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। এখানকার এমএল এ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, এম.পি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি ও নন্দীগ্রামের।
তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে। তৃণমূল নেতা বাপ্পাদিত্য বর্গের দাবি
“এখানে বিজেপির এমএলএ এমপি থাকা সত্ত্বেও তারা নন্দীগ্রামের রাস্তাঘাট উন্নয়নে ব্যর্থ”।
আবার বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস কেই এই সমস্যার জন্য দায়ী করছে।
বিজেপি নেতা সুদীপ দাস বলেন”বর্তমানে রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস, তারা উন্নয়নের দিকে নজর না দিয়ে শুধু তোষণের রাজনীতি করে চলেছে”, বাংলার উন্নয়নে ব্যর্থ তৃণমূল কংগ্রেস।।