সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। জনগণের মন্ত্রী ছুটছে। নগরে বন্দরে পর্যটন ভ্রমণ
হাভাতে মানুষের জীবন দর্শন!
রাজার হাতে স্টিয়ারিং ঘোরে
তমাল সাহা
বিশাল বিপণি হলেও ধর্ষিতার দেহ সাজানো থাকেনা দোকানে
পণ্য হিসেবে তা বিক্রি হয় ভোটের বাজারে।
দ্রব্য সামগ্রীর মতো ধর্ষিতার দেহ ছোট বড় হলে তার মূল্যও ওঠানামা করে,কমে বাড়ে।
শীতবস্ত্রের দোকানে যাবে কেন তুমি
কেন করবে পকেট থেকে মুদ্রা ব্যয়?
কত কী পাবে তুমি মাফলার হাফহাতা ফুলহাতা সোয়েটার পশমী চাদর!
মন্ত্রী এসেছে সব নিয়ে, শিশুটিকে কোলে নেবে তোমাকে কিনে নেবে ভোটের প্রহর।
গরিবের হোগলা পাতার ছাউনি, খেজুর পাতার চাটাইয়ের বুনন, ভাঙা চেয়ার, সানকিতে মোটা চালের ভাতের ভোজন সবই ভোটের ভেট।
শাসক জানে স্বনির্ভরতা ভালো নয়, খালি থাকুক ওদের পেট।
বোমা বিস্ফোরণে নিহত পুত্রের দেহ পাশে রেখে ক্ষতিপূরণের টাকা পণ্য হয়ে যায়!
ভোটের আগে শুকনো জল চোখের তারায়।
অসহায় মা সে টাকা তুলে নেয় হাতে
ভোটের জন্য কত কী ঈশ্বর লিখে রাখে আমাদের এই হাভাতে বরাতে।
দেশে পঞ্চায়েতি রাজ কায়েম হবে
দামামা বেজে ওঠে নির্বাচন! নির্বাচন!
লক্ষ্মীর মা খুব খুশি, লক্ষ্মীর নামে চালু হয়েছে ভাণ্ডার,যাচ্ছি খয়রাতির দুয়ারে।
বাড়ি পাহারা দিও, কোথায় গেলে গো
হে লক্ষ্মীর বাপ? নারায়ণ! নারায়ণ!
জলপথে কুমিরখালি নেতাধোপানি সুন্দরবন হিঙ্গলগঞ্জ
খাল খাড়ি পেরিয়ে যায় লঞ্চ।
ধামাকা মন্ত্রী চালকের সীটে তার হাতে লঞ্চের স্টিয়ারিং ঘোরে।
হাপিত্যেশে জনগণ দাঁড়িয়ে আছে নদীর কিনারে।
সব সব হয়ে যায় ভোটের পণ্য
ফতুর জীবন আমাদের, আমরা তোমাদের জন্য।
ক্ষমতা চাই, ক্ষমতা চাই, চাই মসনদ আসন।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নেতারা দাপিয়ে বেড়ায়
সন্ত্রাসী ভোটের বিশাল আয়োজন