অবতক খবর : প্রায় এক মাস হয়ে গেল, বিজয়া দশমীর দিন পান বস্তির রাজু কর্মী খুন হয়ে গিয়েছিল। দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জনের আগেই সকালবেলা সে খুন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই খুনির আজ পর্যন্ত কোনো হদিশ করতে পারল না বীজপুর থানা প্রশাসন। লোক দেখানো অনেক ঘটনাই ঘটল, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট অন্যান্য আই পি এস অফিসারদের নিয়ে একাদশীর দিন ছুটে এলেন বীজপুর থানায়। সে কী গাড়ির ভিড়! সিপি নিজে দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এক মাস অতিক্রান্ত হতে চলল খুনি গ্রেপ্তার হল না। তাহলে এই লোকদেখানো তৎপরতার দরকার কি ছিল?
পুলিশ অন্য কাজে যত তৎপরতা দেখায়, আইন-শৃঙ্খলা, রাহাজানি এ বিষয়ে তত তৎপর নয়। কাঁচরাপাড়া ১৫ নং ওয়ার্ডের কবরস্থান মাঠে চলছে পুরোপুরি মদের আসর, পর্দা টাঙিয়ে চলছে লোটো খেলা। পুলিশ এসবে তৎপর নয়। পুলিশ তৎপর বিশেষ বিশেষ পুজোকে বানচাল করে দেওয়ার জন্য। একটি বিশেষ শ্যামা পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল কবিগুরু রবীন্দ্র পথে । সেদিন পুলিশের বিশেষ নজরদারিতে সেই মূর্তিটি, সেই বিশাল শ্যামা প্রতিমাটি স্থানান্তরিত করে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে বাধ্য হয় পূজা প্রেমীরা। বেআইনি অনেক পুজো হয়েছে এবার কাঁচরাপাড়ায় পুলিশ সেদিকে তৎপরতা দেখায়নি। কিন্তু এই পুজো কমিটিটি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তারা কম্বল প্রদান করেছিল। কিন্তু পুলিশ কোন অদৃশ্য অঙ্গুলিহেলনে সেই পুজো কমিটির উদ্যোক্তাকে থানায় ডেকে নিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেয়। এবং মূর্তিটি স্থানান্তরিত করতে বাধ্য করে। পুলিশ এ বিষয়ে অত্যন্ত সক্রিয়।অথচ আজ পর্যন্ত রাজু কুর্মীর খুনি গ্ৰেপ্তার হল না কেন?