অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। সাংবিধানিক পদকে কার্যত ধুলোয় ছুঁড়ে ফেলে বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমে পরেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল। সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে আক্রমণের পাশাপাশি নকল ব্যালট ছাপানোর অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে। এই ইস্যুতে রাজ্যপালকে বিঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ রাজ্যপালকে আশারাম বাবুর সঙ্গে তুলনা করে কটাক্ষ করেছে।
কুনালের কথায়, রাজ্যপাল বিহজেপির দালাল, বিজেপির এজেন্ট। রাজ্যপালের কিছু মনে হলে তিনি কমিসনকে চিঠি দিতে পারেন, রিপোর্ট পাঠাতে পারেন দিল্লিতে। তা না করে , ভোট প্রচারের শেষ দিনে ,সব দল যখন প্রচারের কাজে ব্যস্ত ,উনি বিজেপির হয়ে প্রচার করলেন। উনি যে রাজনীতি করছেন, এতা আরও একবার প্রমাণিত হল। উনি যে প্রবচন দিলেন আজ, তাতে আসারাম বাবুর মতো ওকে আনন্দরাম বাপু বলতে ইচ্ছে করছে। রাজনীতিই করছেন যখন , ভোটে দাড়ালেন না কেন? সঙ্গে এও বলেন, ১১ জুলাই এর পর তিনি মুখ দেখাতে পারবেন না।
অন্যদিকে, রাজ্যপালকে তাঁর পরামর্শ মেডিটেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে রাজভবনে পিসরুম খোলেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে বলতে গিয়ে স্পিকার বলেন,’পিসরুম নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। উনি বরং রাজভবনে শান্তি বজায় রাখুন। আমার মনে হয় ওঁর মন অশান্ত হয়ে গিয়েছে। তাই ওখানে শান্তিরুম তৈরি করেছেন। ওর মেডিটেশন করা উচিত।’ এভাবেই গোটা তৃণমূল শিবির রাজ্যপালের সাংবাদিক বৈঠককে কটাক্ষের সুরে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে।