অবতক খবর , দেবাশিস মালিক, কাকদ্বীপ:- ভারত সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রতিবছর দেশের সেরা পঞ্চায়েত বেছে নেওয়ার জন্য আয়োজন করে , দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত স্বশক্তিকরণ প্রতিযোগিতা। স্যানিটেশন, নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ, ১০০দিনের কাজ প্রভৃতি কয়েকটি বিভাগের পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল জি.পি.ডি.পি. বা গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত মন্ত্রক সারা দেশের মধ্যে একটি’ই মাত্র গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই পুরস্কার দিয়ে এসেছে। কিন্তু এবছর নিয়ম পাল্টে দেশের প্রতিটি রাজ্যের সেরা পঞ্চায়েতকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । আর প্রথম বার এই বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রাজ্যের ৩৩৪১ টি পঞ্চায়েতকে পেছনে ফেলে সেরার শিরোপা জিতে নিল দঃ ২৪ পরগণা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মাপকাঠিতে কীভাবে একটি পঞ্চায়েত তার ভৌগলিক এলাকার মধ্যে বসবাসরত সকল মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার লক্ষ্যে সহভাগী পদ্ধতিতে বাস্তবসম্মত উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরী করে; কীভাবে সেই উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনার সময় সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মতামত নিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার সমস্যা, প্রাপ্তব্য সম্পদ ও সম্ভাবনা কে চুলচেরা বিশ্লষণ করার মধ্যে দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনাকে বাস্তব ও বিজ্ঞান সম্মত করে তোলে; সেইসঙ্গে পরিকল্পনা রূপায়ণের ক্ষেত্রে তদারকি, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার মেলবন্ধন ঘটিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায় – এই ছিল প্রতিযোগিতার মাপকাঠি। অনলাইনে সমস্ত তথ্য ও প্রাসঙ্গিক ছবি আপলোড করার মধ্যে দিয়ে জি.পি.ডি.পি. বিভাগে আবেদন করে প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত।
প্রতিবছর এপ্রিল-মে মাসে পুরস্কার প্রাপকদের সংবর্ধিত করে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। কিন্তু এবছর করোনা অতিমারীর জেরে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বাতিল করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি জানান। সেইসঙ্গে মন্ত্রকের দেওয়া শংসাপত্র এবং পুরস্কার মূল্য বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতকে প্রদান করেন। এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবব্রত মাইতি বলেন, ”পুরস্কার হল ভালো কাজের স্বীকৃতি। যেকোন পুরস্কার আরো ভালো করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। ধারাবাহিক ভাবে আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত সাধারণ মানুষকে নিয়ে, সাধারণ মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এই পুরস্কার আমাদের দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিল।”