অবতক খবর,১৫ মার্চ: রাজ্যে ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বে আম আদমি পার্টি । একথা জানিয়ে দিলেন দলের এরাজ্যের ইনচার্জ সঞ্জয় বসু । হাইকমান্ডের নির্দেশে ইতিমধ্যেই দলের লোকাল ইউনিটগুলি কাজ শুরু করে দিয়েছে।

দিল্লির গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রথমবার পাঞ্জাব দখল করেছে আম আদমি পার্টি। এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নজর অন্য রাজ্যে । বিশেষ নজর বাংলায়। পাঞ্জাব জয়ের পরে বাংলাতেও সংগঠন বিস্তারে উদ্যোগ নিয়েছে আম আদমি পার্টি।

বৃহস্পতিবার ৫ রাজ্যে ভোটের ফল ঘোষণার পরদিন থেকেই জেলায় জেলায় দেখা যাচ্ছে আম আদমি পার্টির সক্রিয়তা। রবিবার গিরিশ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পদার্পণ যাত্রা করেন আম আদমি পার্টির কর্মীরা। বিভিন্ন জেলায় পড়েছে পোস্টার। মিশন বাংলার শুরুতে কেজরিওয়ালের দলের লক্ষ্য, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা।

আম আদমি পার্টি-র এরাজ্যের মুখপাত্র বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব এই রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেজরিওয়ালের ভাল সম্পর্ক। কিন্তু এখানে রাজনৈতিক লড়াই হবে।

রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিম বলেন,  আপের মনে হয় না এখানে তেমন কিছু আছে। তবে কোনও দল এসে কর্মসূচি করতেই পারে। খুব বেশি প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।

কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও তৎপর আম আদমি পার্টি। মালদার ইংরেজবাজারে লিফলেট বিলি করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তারা। কোচবিহার শহর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে আম আদমি পার্টির পোস্টার। সদস্য হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতেও দেখা যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া পোস্টার।  যেখানে লেখা, নোংরা রাজনীতিকে করতে সাফ, বাংলায় এবার আসছে আপ। মালদার রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের পর এবার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকে শুরু হয়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযান।

গতানুগতিক ধারা থেকে সরে গিয়ে বাংলার রাজনীতিতে অন্য বিকল্পের সন্ধান দিতেই জোরকদমে ময়দানে নেমেছে কেজরিওয়ালের দল। যদিও তাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল।