অবতক খবর,১২ আগস্ট: রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতি জুনিয়ার ডাক্তারদের ,
তবে এই ঘটনা যেমন মর্মান্তিক মানুষের কাছে
তেমনি এই ঘটনায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে অনেকাংশে
রুগীদের বাড়ছে সমস্যা । চিকিৎসা করতে এসে ফিরতে হচ্ছে তাদের ।
সূত্রের খবর ;এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রতিটা হাসপাতালের কোনায় কোনায় ,
আন্দোলনে নেমেছেন কলকাতার সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। রবিবার থেকে বন্ধ হয়েছে আপৎকালীন বিভাগের পরিষেবাও। তার প্রভাব পড়েছে জেলার সরকারি হাসপাতালেও।এই অবস্থায় সমস্যার স্মুখীন রুগী ও তার পরিবার গুলি ।আরজি কর নিয়ে কলকাতার প্রায় সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালেই আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
সেই আন্দোলনের বিক্ষিপ্ত প্রভাব পড়ছে জেলার কিছু কিছু সরকারি হাসপাতালেও। বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারে হাসপাতালে চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে রোগী পরিষেবা। তবে এমন সরকারি হাসপাতালও রয়েছে, যেখানে এই আন্দোলনের বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি রোগীদের চিকিৎসায়।
শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হলে।এবং এর পর থেকেই ঝড় ওঠে চিকিৎসার অন্দরমহলে ।ব্যাহত করা হয় চিকিৎসা ক্ষেত্র ।বন্ধ করা হয় আপৎকালীন বিভাগের পরিষেবা এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজি করে সোমবারও যা চলছে। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, নিরাপদ বোধ করছে না বলেই কাজে যোগ দিচ্ছেন না। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন জোর করে কোনও পরিষেবা বন্ধ করা হয়নি। তবে আন্দোলনকারী ডাক্তারেরা কাজে যোগ দেননি। তারা জানিয়েছেন, তাদের চার দফা দাবি না মানা হলে আন্দোলন চলবে। যে আন্দোলনে দেশ এবং রাজ্যের চিকিৎসকদেরও শামিল হওয়ার ডাকও দিয়েছেন তারা। তার পরেই সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিন সকাল থেকে জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে শুরু হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি। যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের।
মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হয়েছে এন্ট্রান্স জুনিয়র ডাক্তারদের ‘পেন ডাউন’ কর্মসূচি তবে জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মাতৃমা বিভাগের কাজ এবং জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্যান্য জায়গায় তাঁরা কর্মবিরতি পালন করবেন। কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হয় এক হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হওয়ায়। রবিবার দুপুর বারোটার সময় মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নজরুল মোমিন (৫৫)। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। আত্মীয়দের অভিযোগ, বিকেল চারটের পর কোনও ডাক্তার তাকে দেখতে আসেননি। চিকিৎসার অভাবেই মৃত্যু হয়েছে তার।
জানা যায় ;উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা,হুগলি ও হাওড়া,উত্তরবঙ্গ,বসিরহাট,মেদিনীপুর এই সমস্ত জেলা হাসপাতাল গুলুতে চিকিৎসা
বন্ধ থাকায় রুগীদের ও তার পরিবারের পড়তে হচ্ছে বিপাকের মুখে মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত জরুরীবিভাগ রাখা হয়েছে
ব্যাহত । গ্রামীণ হাসপাতালেও বন্ধ বহির্বিভাগ বা আউটপেশেন্ট ডিপার্টমেন্টের চিকিৎসা পরিষেবা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ পাননি। অন্য দিকে, মহকুমা হাসপাতালেও জরুরি বিভাগ সামলানোর দায়িত্বে রয়েছেন একজন মাত্র চিকিৎসক। রোগীর ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন তিনি বলে সূত্রের খবর ।