অবতক খবর,২৯ মে: আজ বহরমপুর দলীয় কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিলেন রাজ্য সরকার। অধীর চৌধুরী বলেন আচার্য পদের রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রী কে যে বসানোর সিদ্ধান্ত কিছুদিন আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সেটি দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন রাজ্যপাল এর সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে সংজ্ঞা শুরু হয়েছিল গত ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং উপাচার্যদের নিয়ে তিনি দুইবার বৈঠক করেন কিন্তু এই বৈঠকে কোন বাড়ি আচার্য এবং উপাচার্যরা উপস্থিত হননি বলে জানা যাই।
তখন রাজ্যপাল একটি টুইটে তার বক্তব্য ছিল এই সরকারের আমলে শিক্ষাব্যবস্থার চিত্র খুব উদ্বেগজনক। অধীর চৌধুরী বলেন এইভাবে আচার্য পদ উপাচার্য পদ ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টের মধ্যে পরে সেগুলির বিরুদ্ধে হঠাৎ করে বিল এনে ক্ষমতার কেন্দ্রীয়করণ করা যে মানসিকতা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর তা আমাদের কাছে স্পষ্ট তিনি বলেন যখন শিক্ষা দপ্তর আজকে দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন আক্রান্ত ডুবে আছে তখন আচার্য পদে মমতা ব্যানার্জি বসে যেন একটা সংস্কারের চেষ্টা করছেন একটা বাতাবরণ তৈরি চেষ্টা করছেন কেউ বলছে ন ঠিকাদারি করলে তৃণমূলের জায়গা হবে না, এইটার কারণ এতটাই দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন হয়ে আছে এতটাই বদনাম কুড়িয়েছে সেখানথেকে সংস্কারের কথা বলছেন।
এখন দিদির ভাইপো সংস্কারক হিসাবে দিদি এবং ভাইপো নিজেকে জাহির করতে চাইছেন। অধীর চৌধুরী আরো বলেন সবাই জানে তৃণমূল দল করতে গেলে টিকে থাকতে গেলে কাটমানি না খেলে উপরে টাকা না দিতে পারলে তার কোন পথ থাকবে না। তিনি বলেন শুধু ঠিকাদারি নয় পার্টির নেতৃত্ব পেতে গেলে টাকা দিতে হয় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা কি জানেন এখানে জেলা সভাপতি টাউন সভাপতি ব্লক সভাপতি পৌর পিতা হতে গেলে কেন্দ্রে যেতে হয় এটা পার্টির মধ্যে টেন্ডার হয় যে বেশি টাকা দিতে পারবে সেই পথ পাবে। তিনি আরো বলেন এখানে কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে কার কি সম্পর্ক গরু পাচারের সঙ্গে কার কি সম্পর্ক সবাই সব জানে তাই অধীর চৌধুরী বলেন ভূতের মুখে রাম নাম মানায় না।