অবতক খবর,১৭ জানুয়ারি : মঙ্গলবার রাজভবনে আচার্য, উপাচার্য ও শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হয়। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন পরপর দু’বার আচার্য হিসেবে বৈঠকে ডেকেছিলেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের। কিন্তু কোনওবারই কোনও উপাচার্য যাননি। এবার সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল পদে আসার পর বসে বৈঠক। আর সেই বৈঠক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জানালেন, রাজ্য-রাজভবন সংঘাতে ইতি। এমনকী রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেই ‘ আচার্য’ সম্বোধন করেন তিনি। রাজ্য-রাজভবন-বিকাশভবন এবার থেকে একসঙ্গে কাজ করবে বলেও রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বলেন, ” আমরা একটি বৈঠক করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত খুঁটিনাটি-হাল হকিকত খুঁটিয়ে জেনেছেন আচার্য । প্রত্যেক উপাচার্যের সঙ্গে মাননীয় আচার্য আলাদাভাবে কথা বলেছেন।”
উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত বারংবার উঠে আসত রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত, বিকাশভবনের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত। বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক ইস্যুতে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এদিন তারই অবসান ঘটল। আচার্যর সামনেই ব্রাত্য বসু পরিষ্কার করে দিয়ে জানালেন এটি একটি ঐতিহাসিক বৈঠক। এবং এই বৈঠকের জেরে আর কোনও বিরোধ নয়, শুধুই সমন্বয়।
এই ইস্যুতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “শিক্ষামন্ত্রীর বলা উচিত ছিল মুখ্যমন্ত্রী হবেন আচার্য। রাজ্যপাল আর আচার্য থাকবেন না বলে সেদিন বিল আনলেন। আজ আবার বৈঠকে হাজির হলেন। আমরা চাইব কোনও শিক্ষাবিদ হোক আচার্য। আর রাজ্যপাল-নবান্ন-বিকাশভবন একসঙ্গে কাজ করবে, এটাই তো হয়ে এসেছে। নতুন কী আছে?” ধনখড়ের আমলেই রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার জন্য বিল আনা হয়েছিল বিধানসভায়। উল্লেখ্য, শিক্ষা দফতরের প্রচুর ফাইল আটকে রয়েছে রাজভবনে। ব্রাত্য বসুরা বারবার বলেছেন, রাজ্যপালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হতে হচ্ছে। এরপর এদিন সমন্বয়ের সুর নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ।