অবতক খবর,৫ আগস্টঃ রাতে চলতো অফিস,হানা দিয়ে চক্ষু চড়ক গাছ পুলিশের,দু মাসে কয়েকশো কোটির প্রতারণার হদিস ডানকুনিতে।
ডানকুনি থানার চাকুন্দির আমার বাংলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের একটি গোডাউনে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে আট জনকে গ্রেফতার করে চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারা।
চন্দননগর পুলিশের তদন্তকারী এক অফিসার জানান,ডানকুনি থেকে বিদেশে অনলাইন প্রতারণা চালাত অভিযুক্তরা।ভারতে রাত আর পাশ্চাত্যের দেশগুলো তখন দিন।সেই সময়টাতে কাজ করতো প্ৰতরাকরা।
ডানকুনিতে ভারা নেওয়া গোডাউনে রাত আটটা নাগাদ ঢুকত গাড়ি নিয়ে।ভোর চারটে পর্যন্ত কাজ করে বেরিয়ে যেত প্রতারকের দল।
কিভাবে কাজ হত?তদন্তকারীরা জানান,ডানকুনি থেকে দিল্লী বিভিন্ন জায়গায় প্রতারকদের এজেন্ট রয়েছে।বিদেশী নাগরিকদের ডলার কোনো ব্যাঙ্ক একাউন্টে সরিয়ে সেখান থেকে প্রতারকদের একাউন্টে সরিয়ে ফেলা হত।
এরকম অসংখ্য ব্যাঙ্ক একাউন্টেরও হদিশ মিলেছে।তবে তদন্তকারীরা জানান,কয়েক ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদে যা জানা গেছে তাতে কয়েকশো কোটি টাকার প্রতারণা করেছে এই চক্র।
আমাজনের মত অনলাইন বিপনীর ফেক মেলে লোভনীয় অফার দেওয়া হত।সেই ফাঁদে পা দিয়ে মেলে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করলেই তার মোবাইল ব্যাঙ্ক একাউন্ট হ্যাক করে ডলার হাতিয়ে নিত প্রতারকরা।এর জন্য এনি ডেস্কের মত টিম ভিউয়ার অ্যাপ ব্যাবহার করত।
কিভাবে ধরা পরল?
ডানকুনি থানার আধিকারিক সূত্র মারফত জানতে পারেন চাকুন্দির ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে একটি গোডাউন ভাড়া নিয়েছে কয়েকজন যুবক।তারা দিনে আসে না মূলত রাতে গাড়ি নিয়ে ঢোকে।দিনের আলো ফোটার আগে বেরিয়ে যায়।পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তারা কম্পিউটার রিপিয়ারিং এর কাজ করে বলে ভাড়া নিয়েছিল।কিন্তু রাতে কেন সেই কাজ সন্দেহ হয়।গোপনে খোঁজ খবর নিতে থাকেন।যুবকদের গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু হয়।শুক্রবার চাকুন্দির গোডাউনে হানা দেয় পুলিশ।প্রতারকদের কান্ডকারখানায় হতবাক দুঁদে পুলিশ কর্তারাও।
অভিযুক্তদের আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়।
প্রতারকদের হেফাজতে নিয়ে সাইবার অপরাধের তদন্ত চালাবে পুলিশ।