অবতক খবর,৩ নভেম্বর,নববারাকপুর : থানা থেকে বেড়িয়ে সোজা রাস্তায় চলা টোটো ও রিক্সা চালকদের ফোঁটা দিলেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা।ফোঁটা নিয়ে অনেকে বললো,জীবনের প্রথম ভাইফোঁটা পেলাম।আমারতো কোন বোন নেই,আজকের দিনটা সারাজীবন মনে থাকবে।
ভাইফোঁটার আবেগে ভাসল। রিক্সাচালক থেকে ফুটপাথের হকাররা।
৩ নভেম্বর রবিবার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট। নববারাকপুর থানায় অন্যান্য দিনের মতো কর্মব্যস্ত। লোক আসছে। লোক যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে। পুলিশ অভিযোগে ডাইরি করছে আবার তদন্ত ও করছে। তার মাঝে হঠাৎ জ্বলে উঠল প্রদীপ শিখা, বেজে উঠল মাঝে শঙ্খ। ধূপের সুগন্ধে চন্দন চর্চিত হয়ে থানার অফিসার থেকে কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার সকলের কপালে মঙ্গল কামনায় ভাইফোঁটা চন্দন তিলকে রাঙিয়ে দিলেন ভগিনী সম মহিলা পুলিশরা। আজ অনেক পুলিশ কর্মীকে উর্দি ছেড়ে পাঞ্জাবি পড়তে দেখা গেলো,আর বোন মহিলা পুলিশ কর্মীরা শাড়ি পড়লো।এক অদুরেও থানার পাশে রয়েছে টোটো ও রিক্সা স্ট্যান্ড। সেখানে প্রতিদিন টোটো ও রিক্সা চালকরা দাড়িয়ে থাকেন। পাশেই বসে নিত্যদিনের ছাতুওয়ালা। নিউ বারাকপুর থানার বড় বাবু ও অন্যান্য অফিসার দের তদারকিতে তাদেরও চন্দন চর্চিত করলেন মহিলা পুলিশ বৃন্দ। মঙ্গল কামনায় বেজে উঠল শ্রী কৃষ্ণের পাঞ্চজন্য। একোন ধর্মযুদ্ধ নয় তবে নববারাকপুরে রচিত হল সম্প্রীতি সৌহার্দের মিলনমেলা।