অবতক খবর,৯ অক্টোবর: কাঁচরাপাড়া রেলওয়ে ওয়ার্কশপ খোলা রয়েছে। কর্মীরা কাজে অংশগ্রহণ করছেন। রেলওয়ে স্টাফদের জন্য শিয়ালদহ মেন লাইনে মোট ২১টি ট্রেন চলাচল করছে। কিন্তু গতকাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সোনারপুর রেল স্টেশনে সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনে উঠে পড়ায় গন্ডগোল শুরু হয়ে যায় এবং আরপিএফ ও সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

ফলত কিছু ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ যাত্রী পরিবহনের কারণে করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধের মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না।‌ফলত রেল কর্তৃপক্ষ আজ থেকে রেলের বগি সংখ্যা কমিয়ে দিয়ে ১২ বগির জায়গায় ৪ বগির ট্রেন চালু করেন। ফলত রেলওয়ে স্টাফরা আরো অসুবিধার সম্মুখীন হন। ‌ তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ কাঁচরাপাড়া রেলওয়ে ওয়ার্কশপ গেটে রেল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। ‌কারণ এই যে ১২ বগির ট্রেনকে ৪ বগি করে দেওয়া হয়েছে, এই রেল যাত্রীরা যারা দূর-দূরান্ত থেকে আসেন তারা ফিরবেন কি করে, এমন একটি সমস্যার সম্মুখীন হন। তাদের দাবি ১২ বগির স্থলে ৪টি বগি আসায় সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মানা যাবে না।

রেল কর্তৃপক্ষের এই অবিবেচনাপ্রসূত ট্রেন চালানোর জন্য তারা ক্ষুব্ধ হন। তারা বিক্ষোভ করে বলেন যে,তারা ট্রেন যেতে দেবেন না অবরোধ করছেন। কারণ সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেইনটেইন করে এই ৪ বগিতে এত যাত্রী যাওয়া সম্ভব নয়। ফলত আরপিএফ ঘটনাস্থলে আসে। ‌ তারা উপলব্ধি করতে পারে, শেষ পর্যন্ত সিডব্লুওএম ঘটনাস্থলে আসেন এবং বিষয়টি উপলব্ধি করেন। তিনি পরিষ্কার বলেন যে, এটা ডিআরএম অফিস থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৪ বগি ট্রেনের। তিনি এই বিষয়ে জানেন না তবে রেল কর্মচারীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য তিনি ডিআরএম অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এই বলে তিনি এই বিক্ষোভ প্রশমিত করেন।

এই বলে তিনি ডিআরএম অফিসে যোগাযোগ করে রেল কর্মচারীদের যে অসুবিধা সংক্রান্ত বিষয়টি আলোচনা করেন। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আগামীকাল থেকে ১২ বগী ট্রেন চলাচল করবে। আজকে যে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে যাত্রীরা সেই পরিপ্রেক্ষিতে ডিআরএম অফিস জানিয়ে দিয়েছেন যে,এই ৪ বগী ট্রেনে আজ অসুবিধা করে যাত্রীদের যেতে হবে এবং রাণাঘাট থেকে যে লিংকিং ট্রেনগুলির তারা ব্যবস্থা করছেন যাতে যাত্রীসাধারণরা এই ট্রেন ধরে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারেন। ‌তবে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আগামীকাল থেকে রেল কর্মচারীরা আর এই অসুবিধার সম্মুখীন হবেন না। ‌তারা এই বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন করবেন। ‌