অবতক খবর :: ইসলামপুর :: ১৫মে ::  লকডাউন চললেও বেশ কিছু স্থানে কিছু নিয়মে শিথিলতা দিয়েছিল প্রশাসন। অথচ জরুরী ভিত্তিতে যে সমস্ত দোকান খোলা রাখার কথা তা বাদ দিয়েও অনেককেই দোকান খুলে রাখতে দেখা যাচ্ছে। লকডাউন এর মধ্যেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা কে তোয়াক্কা না করে দোকান খোলা হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই খরিদ্দারও জড়ো হচ্ছেন সেখানে। ফলে এই মুহূর্তে নতুন করে আবার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ইসলামপুরে।


বেশ কয়েকদিন ধরে এমনটা চলার পর জেলাশাসক তথা পুলিশ সুপারকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে যেমন কোন সভাতে বসা হয়নি তেমনি অবৈধভাবে যে সমস্ত দোকান খোলা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই শুক্রবার পৌরসভার চেয়ারম্যানের স্ব-উদ্যোগে আলোচনায় বসেন ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর কর্মকর্তারা।

আলোচনায় সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শনিবার থেকে আর কোন দোকান খোলা রাখা যাবে না। শুধুমাত্র সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী জরুরীকালীন পরিষেবার জন্য যে সমস্ত দোকান খোলা রাখার কথা শুধু সেই দোকান গুলিই খুলতে দেওয়া হবে। বাকি একটাও দোকান পৌর এলাকায় খোলা রাখা যাবে না। যদি তা রাখা হয় তবে তাকে আরও একবার সতর্ক করা হবে। তারপরও নিয়ম না মানলে পুরসভার সহযোগিতায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর মুখপাত্র দামোদর আগরওয়াল। এদিন বাজার সহ অন্যত্র ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে এই লক ডাউনের মধ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে চলার অনুরোধ করেন এবং সবাইকে সচেতন করেন।

অন্যদিকে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই লকডাউন চলাকালীন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন যে শহরের বেশ কয়েকটি বড় বড় দোকান নিয়মিত খোলা থাকছে। অথচ পুলিশ সেখানে না গিয়ে ক্ষুদ্র দোকানগুলো খুললে পরেই তাদের এসে বাধা দেয় ।ইসলামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কানাইলাল আগরওয়াল জানান, ” সরকারি নিয়ম মেনে সবাইকে চলতে হবে। যদি তা কেউ মানতে না চান তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে সমস্ত জরুরীকালীন দোকান রয়েছে সেখানে কখনোই ন্যায্যমূল্যের অতিরিক্ত মূল্য গ্রাহকদের কাছ থেকে যাতে না নেওয়া হয় সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে।”