অবতক খবর,২৫ জুলাই: ফের একবার এটিএম জালিয়াতির টার্গেট বৃদ্ধ। ভিন রাজ্যের ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। গত মে মাসের ২৪ তারিখ বাগুইহাটি থানার অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা ৭২ বছরের রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করে জানান, ২৩মে সকালে তিনি কুণাল সরকার নামক এক ব্যক্তির ফোন পান। যেখানে কুণাল সরকার নিজেকে একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাবে পরিচিতি দেন এবং কে ওয়াই সি আপডেট করতে বলেন। তবে জালিয়াতির বিষয়ে তৎপর থাকার জন্যে তিনি প্রথমে ফোনটি কেটে দেন। তার কিছুক্ষন বাদেই তার ফোনে একটি এস এম এস আসে। যেখানে তিনি দেখতে পান তার একাউন্ট থেকে ৫০২৫ টাকা ডেবিট হয়ে গেছে। টাকা ডেবিট হওয়ার কারণ জানতে ব্যাংক ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দেওয়া কুণাল সরকার নামক ব্যক্তিটিকে ফোন করেন বৃদ্ধ। সেই সময় কুণাল সরকার পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির কাছে নিজের ডেবিট কার্ড নম্বর এবং একটি ওটিপি শেয়ার করেন। পর মুহূর্তেই ব্যাংক থেকে ৩লক্ষ ৪৯হাজার ৫০০টাকা উধাও হয়ে যায় এবং অভিযুক্ত ফোন বন্ধ করে দেন। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বিধাননগর সাইবার ক্রাইমের দারস্ত হন বৃদ্ধ।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে গতকাল আসানসোলে সূত্র মারফত খবর পেয়ে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রাজেশ কুমার মন্ডল নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর এই প্রতারণা চক্রের পিছনে একটি চক্র যুক্ত রয়েছে। এই ব্যক্তি এই চক্রটিকে পরিচালনা করতো। এই ব্যক্তি নিজেই নাম পরিবর্তন করে বৃদ্ধকে প্রতারিত করেছে বলে সাইবার ক্রাইম অফিসারদের প্রাথমিক অনুমান। শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক নয় বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংকের ম্যানেজার পরিচয় দিয়েও এই চক্র প্রতারণা সংঘটিত করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি ডেবিট কার্ড, একটি এল ই ডি টিভি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধের থেকে এই এটিএম কার্ডের একাউন্টে টাকা আসে এবং সেই টাকা দিয়ে আসানসোলের একটি দোকান থেকে টিভিটি কেনেন অভিযুক্ত। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে সেই বিষয়েও তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।